ডেস্ক রিপোর্ট::সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে পরিবেশ সংরক্ষণ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সাংবাদিক সোসাইটির উপপরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) এবং কথিত হলুদ সাংবাদিক হাফিজুর রহমান নাঈম কারিকার ওরফে নাঈম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার নুরনগরের কাটাখালী ও দুরমুজখালি গ্রামের কয়েক শত পরিবারের নিকট হতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে নাঈম চৌধুরী মোটা অংকের টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভূক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, নাঈম চৌধুরী আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এনে দেবেন বলে আমাদের কাছ থেকে নগদে এক হাজার টাকা গ্রহন করে। তার কিছুদিন পর আরও পনেরো শত টাকা দিতে হবে, না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের বিশ্বাস তিন থেকে চাঁর হাজার টাকা লাগে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে এবং ঘুষ না দিলে জীবনেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়না। ঘুষ না দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন এমন নজির নেই শ্যামনগর উপজেলার কোথাও। আর এই সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চায়নি চাঁদাবাজ নাঈম চৌধুরী।
খবরে জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শ্যামনগর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতাযনের আওতায় এনে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। কতিপয় দালাল এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদাবাজি করছে। আর একারণে শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এবিষয়ে নাঈম চৌধুরীর সাথে কথা মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এই কাজটা এলাকার লোক আমাকে দিয়ে করিয়েছে। আমি কাজটা করতে চাইনি। আমি আমার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ এর জন্য চেষ্টা করছি। ওরা বলছে যত টাকা লাগে আমরা দেবো। আমি নিজেও টাকা দিয়েছি। যতবার বিদ্যুৎ অফিস থেকে লোকজন এসেছেন ততবারই এক থেকে দেড় হাজার টাকা বকশিশ দিতে হয়েছে। আজ পর্যন্ত যারা বড় বড় কথা বলে গেছে তাদেরকে টাকা দিতে হয়েছে। আর তারা তো নিজে হাতে বকশিশ দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভাই বিদ্যুতের কাজ টাকা ছাড়া হয় না। যে ভালো কাজ করবে তার বদনাম হবে। আমি আবেদন করলে বিদ্যুৎ অফিসারকে টাকা দিতে হয়েছে সরেজমিনে আসার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখে কোন লাভ হবে না। আপনারা লিখে যদি কিছু করতে পারেন তাহলে করেন।