পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ১০ নং মহা-বিপদ সংকেত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার মধ্যে শনিবার রাতে উপক‚লীয় এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও সমাজ কর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায় হাজার-হাজার নারী-পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল কলেজ ও নিরাপদ স্থানে রাত্রি যাপন করেন। কোথাও বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাজার-হাজার আধা-পাকা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। একাধিক স্থানে বিদ্যুৎ এর খুঁটি উপড়ে পড়েছে এছাড়া বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছপালা পড়ে বিকল হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সংশ্লিষ্টদের চেষ্টায় ৩৬ ঘণ্টা পর পুরানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাশ জানান, গত দু’দিনের ভারী বর্ষায় ৫ হাজার ১শ’ হেক্টর আয়তনের ১ হাজার ১শ’ ৮৫টি চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫৭ কোটি টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ৯শ’ ৬৫ হেক্টরের আমন ক্ষেতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে ২ হাজার ৭শ’ হেক্টর আমন ধান, সবজি ৫৬ হেক্টর ও ৯ হেক্টর পান ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের কথা বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, ঝড়ে ১ হাজার ৫শ’ ২০ আধা-পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ৬ হাজারের উপর ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী মো. ফরিদ উদ্দীন জানান, জলোচ্ছ¡াসের পরিমাণ কম থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি বাধ সুরক্ষিত রয়েছে।
পাইকগাছায় প্লাবিত চিংড়ি ঘের: ভেঙেছে ঘরবাড়ি-গাছপালা : ৩৬ ঘণ্টার পর বিদ্যুৎ লাইন সচল
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/