Site icon suprovatsatkhira.com

১০ দিন পর লাশ উদ্ধার, ঘাতক স্বামী আটক : কালিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুম জিডি নাটক

শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ/ রবিউল ইসলাম: পারিবারিক কলহের জেরধরে স্ত্রী মারুফা বেগমকে (২৮) গত ১৭ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে শ্বসরোধে হত্যা করেন স্বামী শহিদুল ইসলাম (৪০)। এরপর বিষয়টি ধামা চাপা দিতে প্রতিবেশী আহসান গাজীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ’র টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লাশ লুকিয়ে রেখে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে গত ১৯ নভেম্বর কালিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা গ্রামে। সূত্র জানান, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা গ্রামের কাঁলাচাঁদ কারিগরের ছেলে শহীদুল ইসলাম গত ১৭ নভেম্বর থেকে স্ত্রী মারুফা বেগমকে (২৬) পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় ১৯ নভেম্বর কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে পড়শি ফিরোজা বেগম নামে এক নারী টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। এরপর স্থানীয়রা সন্দেহের ভিত্তিতে ঘাতক স্বামী শহিদুলকে আটক রেখে থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘাতক স্বামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেন। শত শত মানুষের উপস্থিতিতে পরিচালিত অভিযানে সবার সামনে ঘাতক স্বামী শহীদুল স্বীকার করে স্ত্রী মারুফাকে সে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ গোপন করতে ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে। স্থানীয়রা জানান, শহিদুল ইসলাম পেশায় ঝাড়-মুড়ি বিক্রেতা। তার আগেও একটি স্ত্রী ছিল। দাম্পত্য কলহে তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যশোরের নাভারণ এলাকায় বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে তার দুটি সন্তান আছে। নিহত মারুফা বেগম শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের আবাদচন্ডিপুর খাওড়াঘাট গ্রামের আব্দুল মজিদ মোল্লার মেয়ে। তার পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: দেলোয়ার হুসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা বেগমকে শ্বসরোধ করে হত্যার বিষয়টি বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার বর্ণনা অনুযায়ী মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিল।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version