Site icon suprovatsatkhira.com

স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আশাশুনির চাপড়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক কৌশলে পকেট কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত দাতা সদস্য আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের মৃত পিচির উদ্দিন সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্য বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতে জড়িয়ে পড়ায় আমি এর প্রতিবাদ করলে তার সাথে আমার বিরোধ বাধে। বিদ্যালয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১২,১৩,১৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র খরিদ জমা দেওয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়। আমি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মনোনয়ন ক্রয় করি এবং জমা দেই। ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন প্রিজাইডিং অফিসার দেখেন শিক্ষক প্রতিনিধি অভিভাবক সদস্যদের মনোনয়নপত্র ও ভোটারের কাগজপত্র জমা থাকলেও দাতা সদস্যের কোন মনোনয়ন পত্র ভোটার সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র জমা নেই। যে কারণে প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে দাতা সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমার দাতা সদস্যর ভোটার কাগজপত্র ২০ হাজার টাকার জমাকৃত মানি রিসিভের কপি ও রেজুলেশন কপি উপস্থাপন করলে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার কাগজপত্র যথাসময়ে না দেওয়ায় আপনাকে দাতা সদস্য হিসেবে নিতে পারলাম না। এ ঘটনায় তিনি গত ২৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা দেওয়ানি আদালতে মামলা করেন। আদালত ২৪ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক, প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেন। গত ২৯ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক আদালতে হাজির হয়ে সময় প্রার্থনা করলে আদালত আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দেন। কিন্তু আদালত ৩০ অক্টোবর বিচারক মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাপড়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিনি আরও বলেন, ৩১ অক্টোবর উক্ত বিদ্যালয়ের নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাটি নিয়ে আদালতের একজন সার্ভেয়ার স্কুলে গেলে কেউ সেটি গ্রহণ করেনি। দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসার সেটি গ্রহণ করে আত্মগোপন করেন। দায়িত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক বিমালন্দ দাশ উপস্থিত থাকলেও বলেন আমাদের লিখিত কোন দায়িত্ব নেই আমারা নিতে পারব না। সার্ভেয়ার উপোয়ান্ত না পেয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলা ২টায় রিসিভ করে প্রিজাইডিং অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেটি গ্রহণ না করে প্রোসেস সার্ভেয়ার ও পিয়নকে বিদ্যালয়ে আটকে রাখেন। বেলা ৪টার দিকে প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসার স্কুলে ঢুকে আদেশটি গ্রহণ করে ৪টা ২০মিনিট দেখিয়ে স্বাক্ষর করেন। যাতে নির্বাচন হয়ে গেলে তিনি আদেশটি পেয়েছেন বলে দেখাতে পারেন। তিনি দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ও প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version