Site icon suprovatsatkhira.com

বুলবুলের আঘাতে জেলার মৎস খাতে ক্ষতি ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা: সর্বশান্ত চাষীরা

ইব্রাহিম খলিল: জেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে তিন উপজেলায় ৫ হাজার ১৭ টি মৎস্য ঘের ভেঁসে গেছে। উপক‚লীয় এলাকায় এসব প্রান্তিক চাষিরা এখন সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। শেষ মুহুর্তে বুলবুলের আঘাতে তাদের স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে পড়েছে। কীভাবে শোধ হবে ব্যাংক ঋণ। সরকারি ভাবে সহায়তা না পেলে সর্বশান্ত হয়ে পড়বে এসব চিংড়ি চাষিরা বলে মন্তব্য করেছেন বিশেজ্ঞরা।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলায় ৫ হাজার ১৭ টি চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। এরমধ্যে শ্যামনগর উপজেলায় ৩ হাজার ২ শত ৬৫ টি, আশাশুনি উপজেলায় ১ হাজার ৩ শত ১৭টি ও কালিগঞ্জ উপজেলায় ৪৩৫ টি মৎস্য ঘের একাকার হয়ে গেছে। জমির পরিমাণ ৪২ হাজার ৮ শত ৯২ বিঘা। এসব মৎস্য ঘের থেকে বাগদা, গলদা ও বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ চলে গেছে ৪১৪ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্যে ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন সাগর জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নব্যাপি ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তান্ডবে চিংড়ি চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। । তফশিলভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক ও বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা হতে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে তারা মৎস্য চাষ করে থাকেন।
শ্যামনগরের গাবুরা চকবারা গ্রামে মাছ চাষী ফিরোজ, আবুল হোসেন, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী গ্রামে হাবিবুর রহমান ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামে আব্দুর রহিমসহ অনেক মৎস্য চাষী জানান, তারা পুরোপুরি মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। ঘের ভেসে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে। মহাজনের ঋণের চিন্তায় চাষীরা হতাশ। এ ধরনের অভিব্যক্তি উপজেলার হাজারও মাছ ব্যবসায়ীর। তবে, সরকারি ভাবে সহায়তা পেলে নতুনভাবে মাছ চাষ করে চাষীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় অধিকাংশ মানুষ মৎস্য ঘেরের উপর নির্ভরশীল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে জেলায় মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাছ উৎপাদনে এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংসয় প্রকাশ করেন তিনি। তিনি প্রান্তিক চাষিদের বিঘা প্রতি ২-৩ কেজি চুন ছিটিয়ে নতুনভাবে চিংড়ি পোনা ছাড়ার জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া চিংড়ি ঘেরের বেড়ি বাঁধ উঁচু করে নির্মাণ করতে বলা হচ্ছে। যাতে অতি বৃষ্টির কারণে প্লাবিত না হতে পারে। তিনি আরও বলেন ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি চাষিদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version