Site icon suprovatsatkhira.com

ফেসবুকে মিথ্যা প্রচার করায় আশাশুনিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নেওয়াজ ডালিমের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়িয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করায় অজ্ঞাতনামা ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) ইউপি চেয়ারম্যান নিজে বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ৪(১১)১৯ নং মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট বিকেলে ফেসবুকে ‘রমজান আলী মোড়ল’ নামক আইডি থেকে ‘সাতক্ষীরা পুলিশের অভিযানে ভিজিএফ কার্ডের ৮ বস্তা চাল ও মোটর সাইকেল আটক-১, পুলিশের তাড়া খেয়ে ১৭ বস্তা চাল পুকুরে’ নামক শিরোনামে প্রতিবেদন দেয়। যাতে উল্লেখ থাকে ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিমের মাধ্যমে তার কাজের লোক বলে পরিচিত কয়েকজন রাতের আঁধারে শতাধিক বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রয়ের জন্য আত্মসাৎ করে’। আরও উল্লেখ করা হয় ‘চেয়ারম্যান হস্তক্ষেপ না করলে পুলিশ আরও বেশি চাল উদ্ধার করতে পারতো’। ‘রমজান আলী মোড়ল’ নামক ফেসবুক আইডিতে উপরে বর্ণিত তথ্যের সাথে ‘আশাশুনি, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমসহ ১১ জনের নামে মামলা’ শিরোনামের সাথে চেয়ারম্যানের ছবি সংযুক্ত করে প্রকাশ ও প্রচার করে। রমজান আলী নামক আইডি গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে তার ফেসবুক ওয়েব-সাইটে ইলেকট্রিক বিন্যাস বা ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচার করে। যার প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধে ঘৃণা বা বিদ্বেষের সৃষ্টিসহ ইউনিয়নে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উক্ত মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীর আইডিতে লাইক দিয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করে বর্ণিত অপরাধে সহযোগিতা করেছেন ‘হাসান হাসান’, ‘মনিরুল ইসলাম’, ‘ফজলে হানিফ তাহের’, ‘সার্ভেয়ার বিজন কুমার সানা’সহ ৩০ জন ফেইসবুক ব্যবহারকারী। চেয়ারম্যান ডালিম অভিযোগ করেন, এজাহারে উল্লেখ করা ফেসবুক আইডি’র গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপরাধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আমি এসব অপ-প্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version