নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় নৌ-বাহিনীর সদস্য আবুল কালামকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের নিজদেবপুর গ্রামের সুন্নত আলী মোড়লের ছেলে এবং বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর খুলনা ঘাটির একজন সদস্য।
সূত্র জানান, গত কয়েক বছর পূর্বে নৌ-বাহিনীর সদস্য আবুল কালাম’র সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় মৌতলা গ্রামের মেয়ে ও শ্যামনগর সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রীর।
পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে নৌ-সদস্য আবুল কালাম শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী বিয়ের কথা বললে আবুল কালাম বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। গত শুক্রবার আবুল কালাম ওই কলেজ ছাত্রীকে তাদের বাড়ির পেছনে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এরপর রবিবার আবারও আবুল কালাম ওই কলেজ ছাত্রীকে কালিগঞ্জ থানার পাশে অবস্থিত ইকোপার্কে ডেকে আনে।
একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবিতে পীড়াপীড়ি শুরু করলে তাদের দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদেরকে দু’জনকে থানায় সোপর্দ করে।
পরবর্তীতে কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে রবিবার রাতে নৌ-সদস্য আবুল কালামকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে (মামলা নং-২৫)। এদিকে নৌ-সদস্য আবুল কালাম’র পরিবারের সদস্যদের দাবি পরিকল্পিতভাবে আবুল কালামকে থানার পাশে ডেকে নিয়ে বিয়ের নাটক সাজিয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকালে খুলনার নৌ-বাহিনীর একটি দল থানায় এসে অফিসার ইনচার্জ’র (ওসি) সাথে কথা-বার্তা বলে চলে যায়।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকালে মামলার আসামি আবুল কালামকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ এবং কলেজ ছাত্রীকে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দিসহ ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।