অক্টোবর ২৩, ২০১৯
স্বাস্থ্য বিভাগের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা লোপাটের মামলায় স্টোর কিপার ফজলুল হক কারাগারে
ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা লোপাটের মামলায় স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। স্টোর কিপার ফজলুল হক এ মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালালউদ্দিন বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের পক্ষে তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হক ও হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, রাজধানীর ২৫/১ তোপখানা রোডের বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির সত্তাধিকারীঠিকাদার মো. জাহের উদ্দিন সরকার, তার ছেলে মো. আহসান হাবিব, জাহের উদ্দিনের বাবা মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আবদুস সাত্তার সরকার এবং তার ভগ্নীপতি ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. আসাদুর রহমান, জাহের উদ্দিন সরকারের নিয়োগকৃত প্রতিনিধি কাজী আবু বকর সিদ্দিক ও মহাখালী নিমিউ অ্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম আব্দুল কুদ্দুস। এ মামলার আসামি ডা. তৌহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, জাহের উদ্দিন সরকার, আবদুস সাত্তার, আসাদুর রহমান ও আব্দুল কুদ্দুসসহ ৬ জন নিম্ন আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। বাকি দুই জন আহসান হাবিব ও কাজী আবু বকর সিদ্দিক এখনও পলাতক রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাড. আসাদুজ্জামান দিলু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার আসামি স্টোর কিপার এ.কে.এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা থাকার পর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 8,889,245 total views, 138 views today |
|
|
|