Site icon suprovatsatkhira.com

কুলিয়ার কয়েকটি খালে নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষ: কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা

রুহুল আমিন, কুলিয়া প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের সরকারি খালগুলো নেট পাটা দিয়ে জবর দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। এতে করে প্রতিনিয়ত চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে এ ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। বছরের পর বছর ইজারাদার চক্রের স্বেচ্ছাচারিতা, জবর দখলকারীদের খাল দখল প্রবণতা ও খালে নেট-পাটা, পালা বসিয়ে মাছ চাষ করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। লাবণ্যবতী খালসহ শাখা খালগুলো এখনও রয়ে গেছে অবৈধ নেট-পাটার কবলে। কোথাও আবার ইজারার নামে মাটির বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে খালের মুখ। স্থানীয়রা জানান, কুলিয়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের কয়েকটি এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য লাবণ্যবতী খালের ওপরেই নির্ভরশীল। যুগ যুগ ধরে লাবণ্যবতী খালের মাধ্যমে বহু এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে আসছে ইছামতি নদীতে। লাবণ্যবতী খালটি হাড়দ্দাহ গেইট থেকে ইছামতি নদীর সাথে সংযুক্ত। আবার সাতক্ষীরার প্রাণসায়ের ও কলকাতা খাল থেকে শাখা খাল হিসেবে চরবালিথা খাল, কদমখালী খাল, ঝিনুকঘাটা খাল এসে মিশেছে লাবণ্যবতীতে। আবার কুলিয়া বাঁধের মুখ থেকে লাবণ্যবতীর দুটি শাখা কামটপাড়া সুবর্ণাবাদ ও শশাডাঙ্গা হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে। সরজমিনে দেখা যায়, কুলিয়ার লাবণ্যবতীর অন্যান্য শাখা খালগুলোর মধ্যে কামটপাড়া, সুবর্ণাবাদ, টিকেট, পুটিমারী, হিরাচক ও শশাডাঙ্গা হয়ে প্রবাহিত খালের কয়েক মিটার অন্তর শত শত অবৈধ নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষের নামে খালের পানি প্রবাহ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাঁধাগ্রস্ত করছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও সুবিধাবাদীরা। লাবণ্যবতী খালপাড় এলাকার বাসিন্দারা জানান, এসব দখলদাররা খাল বন্ধ করে ছোট ছোট মৎস্য ঘের হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে কুলিয়ার সকল সরকারি খাল প্রভাবশালী ও সুবিধাবাদীদের অপব্যবহারের ফলে যৌবন হারাতে বসলেও, খালগুলোর অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি অবৈধ দখলদারিত্ব উচ্ছেদ ও নেট-পাটা অপসারণে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও ক্রমশ মানুষের মাঝে খাল দখলের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। আর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পানির প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে খালগুলো গতিহীন হয়ে পড়ছে। প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে জন-দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এ বিষয়ে কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় খালগুলো থেকে অবৈধ নেট-পাটা অপসারণের অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুনরায় যদি কোন ব্যক্তি অবৈধ নেট-পাটা দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই অবিলম্বে খাল দখলের মহোৎসব বন্ধসহ অবৈধ নেট-পাটা অপসারণে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ইউনিয়নবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version