শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ: ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। আজ সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। আগামী মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাদেবীর দশমীবিহিত পূজা সমাপনান্তে বিসর্জন প্রশস্তা। দেবীর ঘোটকে গমন।
এর আগে শনিবার শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ,স্থাপন, সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা প্রশস্ত। দেবীর ঘোটকে আগমন। রবিবার শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি কল্পারম্ভ, কেবল, মহাষ্টমীকল্পরম্ভ ও মহাষ্টমীবিহিত পূজা প্রশস্তা। সোমবার মহানবমীকল্পরম্ভ ও মহানবমীবিহিত প্রশস্তা। পঞ্জিকা মতে, এবার ঘোটকে চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা। আর ফিরবেন ঘোটকে চড়ে।
এবছর কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল,নলতা, ভাড়াশিমলা,তারালী,দক্ষিণ শ্রীপুর,বিষ্ণুপুর,কৃষ্ণনগর,রতনপুর,ধলবাড়িয়া,মৌতলা, মথুরেশপুর ও সদর কুশুলিয়া ইউনিয়নসহ মোট ৫২ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কালিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে জানান, দুর্গা উৎসব বাঙালি জাতির উৎসব। শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মঙ্গল সংগীতে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নেবেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। আমাদের এই উৎসবে কোনও ভেদাভেদ নেই। আমরা সকল বাঙালী একসাথে আনন্দ উৎসবের মধ্যে এবার দুর্গাপূজা পালন করতে চাই।
তিনি আরও বলেন প্রতিবারের ন্যায় এবছরও উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে সর্বাধিক ৮ টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে। এছাড়া চাম্পাফুল ইউনিয়নে ৭ টি,কুশলিয়া ইউনিয়নে ৭ টি, মথুরেশপুর ইউনিয়নে ৫ টি, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে ৪ টি, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৪ টি,তারালী ইউনিয়নে ৩ টি, ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে ৩ টি, রতনপুর ইউনিয়নে ৩ টি,মৌতলা ইউনিয়নে ৩ টি, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে ৩ টি,এবং নলতা ইউনিয়নে ২ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানান,শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুর্গাপূজা চলাকালিন দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সসস্যদের পাশাপাশি সাদা পোষাকে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা গুরুত্ব স্থানে বিশেষ নজরদারী রাখবে।