নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্তি, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, স্মার্টফোনের অপব্যবহার, গুজবের কুফল প্রভৃতি বিষয়ে সংবেদনশীল ও সচেতন করার লক্ষে আয়োজিত স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ‘গুজব নয়, যুক্তি নির্ভর প্রজন্ম গড়ি’ স্লোগানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেলের কার্যালয় ও কালিগঞ্জ থানার তত্ত¡াবধানে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় নলতা অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
‘বাল্যবিয়ে রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগই যথেষ্ঠ’ বিষয়ের পক্ষে অংশগ্রহণ করে নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিক সাবিকুন নাহার (উর্মি), ফাতিমা তুজ জোহরা ও আবু রায়হান বিপক্ষে অংশ নেয় সরকারি কালিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিক শ্রেয়া সরকার, আফরিন সুলতানা ও শারমিন আহম্মদ । প্রতিযোগিতায় ৭৭ নম্বর পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৭৬.৫ নম্বর পেয়ে রানার্সআপ হয়েছে সরকারি কালিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক মনোনীত হয়েছে সরকারি কালিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শারমিন আহম্মদ।
বিচারক ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবি.) রাকিবুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক সাহিত্যিক গাজী আজিজুর রহমান। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম বাবু। হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন এবং সময় নির্ণায়ক ছিলেন উজ্জীবনী ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক মোহমুদুন নবী।
নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম জামি।
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, সরকারি কালিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশারাফ হোসেন প্রমুখ।
পরবর্তীতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের বিতার্কিকদের হাতে ট্রফি, ক্রেস্ট, পদক, বই ও সনদ তুলে দেন। এসময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলার ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে।