নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে কুশুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নন্দলাল সরকারের বিরুদ্ধে হয়রানি, অসদাচারণ ও উৎকোচ দাবির অভিযোগ উঠেছে।
নন্দলাল সরকারের বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২২ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের কুলিয়া দূর্গাপুর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে পরিমল কুমার মন্ডল (৫৫)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পরিমল কুমার মন্ডল গত ১৮-০২-২০১০ তারিখে ৮২০ নং রেজিস্ট্রি কোবালা দলিলে কুলিয়া দূর্গাপুর মৌজায় অবস্থিত এস.এ. ২১৪ নং খতিয়ান থেকে ৯১ শতাংশ জমি জনৈক দীপক কুমার দাসের নিকট থেকে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমি ‘খ’ তফসিলের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় তিনি নিজ নামে খাজনা প্রদানের সুবিধার্থে প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ ও ১১৭ ধারার বিধানমতে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনারের কার্যালয় হতে ২০১৫ সালের ৫৬নং কেসের হুকুম মোতাবেক নিজ নামে এস.এ. খারিজ মতে ৫৫৫ নং একটি পৃথক খতিয়ানে রেকর্ড করিয়ে ১৭-০২-২০১৫ তারিখে ৫৮৭৮১০নং রশিদের মাধ্যমে বাংলা ১৩৭৯ সন থেকে ১৪২১ সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। এরপর তিনি গত ০৯-১১-২০১৭ তারিখে ২৭০৮১৯ নং রশিদে ১৪২৪ সাল পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। গত ১৯-১০-২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখে কুশুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পূণরায় হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে গেলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নন্দলাল সরকার তাকে কয়েকদিন পর যেতে বলেন। ১৩-১০-১৯ তারিখে অফিসে গেলে কাগজপত্র দেখতে চান তিনি।
সকল কাগজপত্র দেখার পর তিনি নামপত্তন ভূয়া ও জাল বলে উল্লেখ করে বাড়িতে দেখা করতে বলেন। নন্দলাল সরকারের কথামতো তার বাড়িতে গেলে তিনি ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। উৎকোচ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অসদাচারণ করার পাশাপাশি অবাঞ্ছিত কথাবার্তা বলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী জমি মালিক পরিমল কুমার মন্ডল। এমতাবস্থায় তদন্তপূর্বক আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ অহেতুক হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিমল কুমার মন্ডল।