আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছোঁড়া অ্যাসিডে পুড়ে স্ত্রী ও কন্যা গুরুতর ঝলসে গেছেন। দগ্ধ মা ও মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার চাপড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের একরামুল কাদিরের মেয়ে ফাতেমা সুলতানা (২৯) ও তার মেয়ে জাকিয়া সুলতানা (২)। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ফাতেমা জানান, ছয় বছর আগে নড়াইল জেলার শাহাজান মোল্যার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী তাকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতো। তার স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় এক বছর আগে তাদের তালাক হয়। এরপর থেকে ফাতেমা বাবার বাড়িতে থাকতো। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সে বাবার বাড়িতে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে তার স্বামী শাহাজান মোল্যা বাড়ির জানালার কাছে এসে তাকে ডাকে। জানালা খোলার সাথে সাথেই সে অ্যাসিড ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। অ্যাসিড ছুড়ার সাথে সাথে তার সারা শরীর ও তার পাশে থাকা দুই বছরের মেয়ে ঝলসে যায়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইকবাল মাহমুদ জানান, শিশুটির থেকে তার মায়ের অবস্থা বেশি খারাপ। তার মুখ, চোখ ও বুক থেকে পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও বলেন, ফাতেমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতদের উদ্ধার করে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ফাতেমার সাবেক স্বামী শাহাজান মোল্যাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এসিডে দগ্ধ ফাতেমা খাতুনের বসতবাড়ী এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আশাশুনিতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছোঁড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে স্ত্রী ও কন্যা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/