পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় অন্তঃস্বত্ত্বা পূর্ণিমাকে যৌতুকের দাবিতে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা করে বাদী ও তার পরিবার রয়েছে আতঙ্কে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুনকিয়া গ্রামের নির্মল মল্লিকের ছেলে প্রিন্স মল্লিক (২৬) বটিয়াঘাটা উপজেলার ভগবতীপুর গ্রামের পংকজ কুমার সরদারের কন্যা পূর্ণিমা (২১) কে গত ২০১৮ সালের ১৪ মে সামাজিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর পূর্ণিমা অন্তঃস্বত্ত¡া হলে স্বামী প্রিন্স, ননদ পপি শ্বশুর নির্মল ও শাশুড়ি সীমা বিভিন্ন সময় ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে পূর্ণিমার উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। পূর্ণিমার পিতা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রিন্স, পপি, নির্মল ও সীমা গত ২৭ জুলাই সকালে পূর্ণিমাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। এ ঘটনা তারা মোবাইলে পূর্ণিমার পিতাকে ও থানা প্রশাসনকে জানায়। পুলিশ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরির পর স্থানীয় যুগোলের কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। যুগোল পূর্ণিমাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আচ করতে পেরে পূর্ণিমার বাবা পংকজকে মোবাইলে জানায়। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়, যার নং- ২৯/১৯, তারিখ- ২৭/০৭/২০১৯। পূর্ণিমার পিতা ঐ দিন সন্ধ্যায় থানায় আসলে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন থানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণিমার পিতা পংকজ সরদার বাদী হয়ে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২ স্বামী প্রিন্স, ননদ পপি, শ্বশুর নির্মল ও শাশুড়ি সীমাকে আসামি করে ৮০/১৯নং মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি পাইকগাছাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। আদালতের আদেশ মোতাবেক ওসি, পাইকগাছা গত ৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বি,এম লিয়াকত আলী জানান, আসামি গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।
পাইকগাছায় এক অন্তঃস্বত্ত্বাকে হত্যার ঘটনায় মামলা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/