অক্টোবর ১, ২০১৯
চাঁদাবাজির মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে সাতক্ষীরা ভিশনের সুনাম নষ্ট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ডেস্ক রিপোর্ট: চাঁদাবাজির মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং সাতক্ষীরা ভিশনের ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করতে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে এসব কথা বলেন, শিমুল বাড়িয়া গ্রামের মৃত আ: সবুর সরদারের পুত্র ইউসুফ সরদার। তিনি বলেন, আমি একজন লাইসেন্সধারী ফিড অপারেটর হিসেবে দীর্ঘদিন অত্যন্ত সুনামের সাথে সাতক্ষীরা ভিশন ক্যাবল অপারেটর কাজী ফারুক হাসান এর কাছ থেকে সিগন্যাল নিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু উক্ত এলাকায় দেবহাটার ক্যাবল অপারেটর আশফাকুল ইসলাম মুন্না লাইসেন্স বিহীন ব্যক্তিদের দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার পাঁয়তারা চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার লাইনের তার কেটে ব্যবসা নষ্ট করার পাঁয়তারা করে। এছাড়া ওই ক্যাবল অপারেটর মুন্নাসহ তার লোকজন চাঁদা দাবি করে বলে অত্র এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে। এ ঘটনায় উপায়ন্তর হয়ে আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করি। উক্ত মামলায় পুলিশ মুন্নাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। উক্ত মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মুন্নার লোকজন বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে মুন্নার লোকজন আমার বিরুদ্ধে এবং আমার ক্যাবল অপারেটর সাতক্ষীরা ভিশনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। মুন্নার লোকজন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে যে সব এলাকার নাম উল্লেখ করে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন মর্মে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সে সব এলাকায় তাদের অধিকাংশ লাইসেন্স নেই। তারা সবাই লাইসেন্সধারী ফিড অপারেটর নয়। শুধুমাত্র খাজরা ও আনুলিয়া ইউনিয়নে লাইসেন্স আছে। অত্র এলাকায় যে ক’জন লাইসেন্সধারী ফিড অপারেটর ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা হলেন- ইউসুফ সরদার, রেজি: নং-১৯২৯ ব্যবসায়ী এলাকা ফিংড়ী ইউনিয়ন, পিযুষ কুমার মল্লিক, রেজি: নং- ১৮০৭ ও ১৮২৬ ব্যবসায়ী এলাকা ব্রহ্মরাজপুর ও ধুলিহর ইউনিয়ন, কমলেশ কুমার সরকার, রেজি: নং- ১৭৭৬ ব্যবসায়ী এলাকা আশাশুনি সদর ইউনিয়ন, কাজী ফারুক হাসান, রেজি: নং- ১৭০৯ ব্যবসায়ী এলাকা কুল্যা ইউনিয়ন, অমল কৃষ্ণ তরফদার, রেজি: নং- ১৭৫৯ ব্যবসায়ী এলাকা কাদাকাটি ইউনিয়ন, নূরুল আলম, রেজি: নং- ৩২৩ ব্যবসায়ী এলাকার শ্রীউলা ইউনিয়ন, মহিম গাজী রেজি: নং- ১৫৩০ ব্যবসায়ী এলাকা বড়দল ইউনিয়ন। উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রত্যেকই সাতক্ষীরা ভিশনের কাছ থেকে সংযোগ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। আমরা কোন ধরনের তার সংযোগ কাটার সাথে জড়িত নই। কারণ একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী কখনো অন্য ব্যবসায়ীর তার কেটে তাকে ক্ষতি করতে পারে না। গোল্ডেন ক্যাবল অপারেটর এর নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী এলাকা সখিপুর ইউনিয়ন থাকলেও তার মালিক নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করে ব্যবসা পরিচালনা করার চেষ্টা করলে ইতোপূর্বে সাতক্ষীরা পৌরসভায় এলাকার ক্যাবল অপারেটর জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে যার নং- দেং ৩৪/১৬। উক্ত মামলায় মুন্নার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা হয়। নিষেধাজ্ঞা-দেশ মহামান্য হাইকোর্টে বহাল রয়েছে। এছাড়া কলারোয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করলে ক্যাবল অপারেটর মুজিবর রহমান কলারোয়া সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং- দেং ৫৯/১৮। উক্ত মামলায় মুন্নাকে কলারোয়া ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এছাড়া কালিগঞ্জে প্রবেশ করলে ক্যাবল অপারেটর আব্দুল আজিজ মন্টু কালিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং- দেং ৪১/১৮। যা বিচারাধীন রয়েছে। এরপরও উল্লেখিত মুন্না আমার ব্যবসায়ী এলাকা অতিক্রম করে বিভিন্ন লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার করে আমাদের ফিড ও ক্যাবল অপারেটরদের হয়রানি করে যাচ্ছে। তিনি উক্ত মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং লাইসেন্স বিহীন অব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফিড অপারেটর পিযুষ মল্লিক, কমলেশ কুমার সরকার, নুরুল আলম, অমল কৃষ্ণ, মহিম গাজী. আবু শাহনেওয়াজ ও প্রণব দেব নাথ। 8,475,549 total views, 277 views today |
|
|
|