শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন সম্পদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গপূজা।
এর আগে দুপুর থেকে আনন্দ উৎসবের মধ্যে শঙ্খ, উলু ধ্বনি আর ধর্মীয় গানে প্রতিটি মন্ডপ পরিণত হয় মহা-মিলন মেলায়। মন্ডপে মন্ডপে চলে সিঁদুর খেলা। হিন্দু নারীরা প্রতিমার সিথিতে সিঁদুর দেয়সহ নিজেরা একে অপরের সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া, মিষ্টি বিতরণ আর ঢাক ঢোলের তালে নেচে গেয়ে উৎসব করতে থাকে। ঢোল, বাশি বাদ্যের তালে তালে ‘মা’ দুর্গার কি জয় এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মন্ডপ গুলো। এরপর চোখের জলে দেবীকে বিদায় জানিয়েছে ভক্তরা।
হিন্দু মহাজোট কালিগঞ্জ শাখার প্রধান সমন্বয়কারী বিশ্বজিৎ সরদার ও ক্যাশিয়ার সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, ষড় ঋতুর বৈচিত্রময় আমাদের বাংলাদেশ। এখানে হিন্দু, মুসলিম-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান সর্ব জাতির মানুষ সহমর্মিতার মধ্যে স্ব-স্ব মর্ধ পালনের মাধ্যমে বয়ে আনে মহামিলনের মহাতীর্থক্ষেএ। তেমনি শরৎ ঋতুতে আবির্ভূত হয়েছেন জগৎ জননী মা দুর্গা। শারদীয় দুর্গতিনাশিনী জগৎ জননী শ্রী শ্রী দুর্গা মায়ের গমণে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে মহাকালের জীবন চক্রের আবর্তনে কিছু সময়ের জন্য সংর্কীর্ণতার ও বর্ণ বৈষম্যতার হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আসুন আমরা সবাই মহামিলনের মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
এদিকে প্রতিমা বির্সজনকে কেন্দ্র করে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁকাশিয়ালী, ইছামতি, কালিন্দী নদীর বুকে নিজ নিজ দেশের পতাকা নিয়ে নামতে শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক ইঞ্জিত চালিত বোট, ছোট নৌকা ও কার্গো। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সংগীতের মুর্ছনায় নেচে গেয়ে, ঢাকঢোল বাজিয়ে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে উপস্থিত হতে থাকেন। একই সাথে সঙ্গে আসা ভক্ত এবং বিভিন্ন ধর্মের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিমা বির্জনে শামিল হন। নিজ দেশের জলসীমায় চলাচলকারী এসব নৌকার প্রতি কঠোর নজরদারী ছিল বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের।
সন্ধ্যার পর প্রতিমা বির্সজনের পর দুই দেশের সীমনায় আতঁশবাজি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এক আনন্দ মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।