Site icon suprovatsatkhira.com

বেনাপোলে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ বর্জন করল সাংবাদিকরা

বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয় তলায় নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী ও স্থল বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি খালেদ মাহমুদ চৌধুরীকে নিয়ে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের গোপন বৈঠকের সংবাদ বর্জন করেছে সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এরপর মন্ত্রী চেকপোস্ট কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও নো-ম্যান্সল্যান্ড পরিদর্শন করে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয় তলায় স্থল বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির ১০ম বৈঠকে যোগ দেন। এ সময় মাইকে ঘোষণা করা হয় এখানে উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না। এমনকি সাংবাদিকরাও থাকতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হয় সাংবাদিক ভাইয়া বাহিরে যান আপনাদের পরে ডাকা হবে। সাংবাদিকদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের অনুপস্থিতিতে সেখানে কি বৈঠক হচ্ছে তা জনগণ কীভাবে জানবে। এখানে গোপন বৈঠকের কি আছে। এই বন্দর নিয়ে বার বার অনেক নাটকীয়তা দেখা গেছে। সাংবাদিকরা কি মন্ত্রীর কাছে বন্দরের বার বার আগুন লাগা, আমদানি পণ্য চুরি, ভায়াগ্রার মত মাদক দেশে আমদানি করে বন্দরে রাখা, নির্ধারিত ওজনের পণ্য ছাড়া বেশি পণ্য আসার কারণ জানতে চাইবে, এই ভয়ে সাংবাদিকদের বৈঠক থেকে দূরে রেখেছে? এ ঘটনায় প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশু মন্ত্রীর উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এর সংবাদ বর্জন করার ঘোষণা দেন। সাথে সাথে বেনাপোলের আরও কয়েকটি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশু বলেন, কি কারণে সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। মাইকিং করে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের তাদের গোপন বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা জারি করল তা সত্যি অনাকাক্সিক্ষত। বর্তমানে বন্দর অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সাংবাদিকরা যাতে এ বিষয়ে মন্ত্রীকে কোন প্রশ্ন করতে না পারেন, তাই কৌশলে সাংবাদিকদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, দেশের উন্নয়নে যেমন সরকার, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের অবদান আছে, তেমনি সাংবাদিকদের অবদানের বিষয়টিও কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। বন্দরের উন্নয়নমূলক আলোচনায় এর আগে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে থেকে নিউজ সংগ্রহ করতেন। এবারও সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াকে অসৌজন্য মূলক আচরণ বলে মনে করছি। সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রীর আগমনের দাওয়াত পেয়েছি। আমরা সকল সাংবাদিকবৃন্দ সেখানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য উপস্থিত হই। সরকারের উন্নয়নের সমস্ত খবর আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যম প্রচার করে থাকি। কিন্তু স্থলবন্দরের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মাইকিং করে আজ আমাদের মন্ত্রীর বৈঠকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমরা ভাবতেও পারিনি কি এমন অদৃশ্য কারণে এমন আচরণ করলেন তারা। এহেন কাজের জন্য আমরা এ সংবাদ বর্জনের ঘোষণা করেছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version