Site icon suprovatsatkhira.com

পাটকেলঘাটায় ছোট কাশিপুরের এক প্রবাসীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় ছোট কাশিপুরের এক প্রবাসীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পাটকেলঘাটা থানার ছোট কাশীপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মধু শেখের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত কয়েক মাস পূর্বে পাটকেলঘাটার খোর্দ্দ এলাকার কওছার খাঁর পুত্র মালয়েশিয়া প্রবাসী হযরত আলী আকস্মিভাবে নিখোঁজ হন। হযরত নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তার পরিবারের সদস্যরা আমার স্বামীকে জড়িয়ে হয়রানি ও খুন জখমের পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়। অথচ আমার স্বামী হযরতের বিষয়ে কিছুই জানে না। প্রকৃতপক্ষে হজরতের নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের আরএকজন আমার স্বামীকে তাকে খোঁজ করার জন্য বলেন। আমার স্বামী তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তার কোন সন্ধান পাইনি। সম্প্রতি আমার স্বামী দেশে ফিরে আসলে খোর্দ্দ এলাকার কওছার খাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগম, সওকাত খাঁর পুত্র লাভলু খাঁ, সবর খাঁর পুত্র মজনু খাঁ গং আমার স্বামীকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এরপর আমার স্বামীর জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে আমার ভাসুর কুদ্দুস শেখ গত ২১ আগস্ট-২০১৯ তারিখে পাটকেলঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এ ঘটনা জানতে পেরে ৩১ আগস্ট-২০১৯ তারিখে খোর্দ্দ এলাকার সওকাত খাঁর পুত্র লাভলু খাঁ, সবর খাঁর পুত্র মজনু খাঁ, কওছার আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগমসহ ২৫/৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী আমাদের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে। আমাদের ঘর দরজায় লাথি মেরে, আমার শাশুড়িকে টানা হেচড়া করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করে বলে ৭ দিনের মধ্যে জিডি তুলে না নিলে কুদ্দুসের মাথা কেটে দু ভাগ করে দেবো। রাস্তাঘাটে পেলে মধুকে খুন, জখমসহ জান মালের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দেয়। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে যে কারণে আমার স্বামী জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের সশস্ত্র মহড়ার কারণে আমার স্বামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ইতিমধ্যে গত ২৭ আগস্ট তারিখে আমার ছোট দেবর শেখ রমজানকে রাস্তায় আটকিয়ে উক্ত জিডি তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে পাটকেলঘাটা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে তাকে ছেড়ে দেয় তারা। এমতাবস্থায় আমি ওই মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির হাত থেকে এবং স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশসুপারসহ সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, দুই পক্ষেরই অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version