পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় লিজ ঘেরের বাসা ভাঙচুর, লুট পাট, মারপিট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা জামিন পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ জামিনের আদেশ দেন। উপজেলার বয়ারঝাপা গ্রামের মো. আরশাদ খা’র পুত্র হামিদ খা’র দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, সোলাদানা ট্রলার ঘাট সংলগ্ন তার লিজ নেওয়া মৎস্য ঘেরে একই গ্রামের বজলু গাজীর পুত্র মোজাম গাজীর নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ঘেরের বাঁধ কর্তন, মারপিট ও বাসা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় হামিদ খাঁ বাদী হয়ে মোজাম গাজী সহ ১২জনের নামে পাইকগাছা থানায় জি.আর ৩৪২/১৯ নং মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় বৃহস্পতিবার সকলে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় হামিদ খাঁ বলেন, আমার স্ত্রীর সহিত পূর্বে মোজাম গাজীর বিবাহ হয়। তখন মোজাম ও আমার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের নামে একটি খাস জমি বন্দোবস্ত হয়। পরবর্তীতে তাদের ছাড়াছাড়ি হলে আমার সহিত বিবাহের কারণে উক্ত সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে। এদিকে, হামিদ খাঁ’র কথা প্রত্যাখ্যান করে মোজাম গাজী জানায়, হামিদ খাঁ এবং আমি বয়ারঝাপা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। সরকার উক্ত গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য সরকারি জায়গা বন্দোবস্ত প্রদান করে। হামিদের স্ত্রী ফিরোজার সহিত আমার বিবাহ ছিল ঠিকই কিন্তু তার নামে কোন সম্পত্তি বন্দোবস্ত হয়নি। আমার পরবর্তী স্ত্রীর নামও ফিরোজা বেগম হওয়ায় তারা এই নামকে পুঁজি করে আমার সম্পত্তি অবৈধ দখলের চেষ্টা করছে। কারণ হামিদ খাঁ এবং ফিরোজা বেগমের নামে সরকার কর্তৃক গুচ্ছ গ্রামের জায়গা বন্দোবস্ত প্রদান করেছেন। যার দলিল নং- ৪৭৮৯/০৫। যেখানে ফিরোজার পিতার নাম আপ্তাব গাজী। এদিকে আমার ও আমার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের নামে সরকার কর্তৃক ৩৪৬১/৯৬ নং খাস বন্দোবস্ত দলিল রেজিস্ট্রি হয়। যেখানে আমার স্ত্রীর পিতার নাম আরশাদ গাজী। শুধুমাত্র আমার স্ত্রীর নাম ফিরোজা বেগম হওয়ায় নামকে পুঁজি করে আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে।
পাইকগাছায় জামিন পেলেন ঘেরের বাসা ভাঙচুর, লুট পাট, মারপিট ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামিরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/