সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
খুলনায় কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা
খুলনা প্রতিনিধি: টানা ১৩ বছরের বেশী সময় পর আগামী ৮ নভেম্বর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সম্মেলন সফল করার লক্ষে আগেই ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫টি থানা এবং ৩৬টি ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। ইতোমধ্যে থানা এবং ওয়ার্ডে বর্ধিত সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বের জন্য ছাত্রলীগের সাবেক বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নেতা মুখিয়ে আছেন। সেই সাথে কিছু নতুন মুখও নেতৃত্বের দাবি তুলেছেন। সব মিলে স্বেচ্ছাসেবক লীগে নেতৃত্বের ঠান্ডা লড়াই আসছে। বিশেষ করে মহানগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পর কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা। সভাপতি পদের জন্য ২ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য অন্তত ৫ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। খুলনা মহানগরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রথম এবং শেষ (একমাত্র) সম্মেলন হয়েছিল ২০০৬ সালের ১জুন। শহীদ হাদিস পার্কে আয়োজিত সেই সম্মেলনে শেখ মোশাররফ হোসেন সভাপতি এবং জেড এ মাহামুদ ডনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে ৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে জেড এ মাহামুদ ডন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং শেখ মোশাররফ হোসেন সদস্য হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের যোগদান করেন। সম্প্রতি নতুন সম্মেলনে সভাপতি পদের জন্য মীর বরকত আলী অন্যতম দাবিদার। সরকারি আজম খান কমার্স কলেজের সাবেক এই জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা ছাত্র সংসদের দুই বার নির্বাচিত জি এস ছিলেন। দলের দু:সময়ে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক করায় প্রশ্ন আসছে, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের হাল ধরার স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন মীর বরকত আলী। মীর বরকত আলী জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্য এক যুগ ধরে কাজ করছি। দল স্বীকৃতি দিলে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করব। সভাপতি পদের অন্যতম দাবিদার স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সহ সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব এম এ নাসিম। সরকারি আজম খান কমার্স কলেজের সাবেক এই জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ২০০০ সালে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। এর আগে ১৯৯৪ সালে কমার্স কলেজের ছাত্র সংসদের এ জি এস ও ১৯৯৯ সালে কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য অন্যতম দাবিদার স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান প্রভাবশালী সদস্য আহমেদ ফিরোজ ইব্রাহিম তন্ময়। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা এক সময় সরকারি সুন্দরবন কলেজের ছাত্রলীগের প্রথমে সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও পরে দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের ¯েœহধন্য ও আস্থাভাজন তন্ময় হতে পারেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক। মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেব দুলাল বাড়ৈই বাপ্পির নাম আসছে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য। এক সময় সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ দিন তিনি মহানগরের কোন পদে নেই। বর্তমানে রাজনীতিতে তার সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেলও দাবিদার। এর আগে তিনি ২০০৫ সালে ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৫ সালের ৮জুন থেকে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে আছেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩১নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হোসেনুজ্জামান হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার। হোসেন সরকারি আজম খান কমার্স কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমান জিয়ার নামও আসছে। 8,569,413 total views, 8,118 views today |
|
|
|