নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোষিকে কাইফু শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব’র মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেছেন। যার অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত উপজেলা নির্বাচনে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব ছিল নৌকার পক্ষে আর তোষিকে কাইফু’র মামাতো ভাই শিবির নেতা একাধিক মামলার আসামি সাদ্দাম হোসেন ছিলেন আনারস প্রতীকের পক্ষে। যার সূত্রধরে হাবিব ও সাদ্দামের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের সূত্রধরে যুবলীগ নেতা তোষিকে কাইফু তার মামাত ভাই সাদ্দামের পক্ষ নিয়ে হঠাৎ করেই ফোন দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা হাবিবকে হুমকি প্রদান করে। হাবিব সেটি মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে। পরবর্তীতে রাকিবুল হাসান রাসেল নামে এক ছাত্রলীগ নেতা সেটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। কথোপকথনের অডিও রেকর্ডে তোষিকে কাইফু প্রথমেই হাবিবকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি সংসদ ভবন থেকে কাইফু বলছি, চিনতে পারছ তোষিকে কাইফু। তুমি নাকি আমার মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে আবার গিয়েছ। এক পর্যায়ে কাইফু বলেন, ওই যে ওসমান গণি ও ভুট্টোকে চিনো, ইয়াছিন মেম্বারকে চিনো, শহিদুলকে চিনো এদের সবাইকে কিন্তু জেল খাটাইছি। নেক্সট যদি যাও হাত কেটে নেবো। তোমার এত বড় সাহস তুমি আমার মামার বাড়িতে গিয়েছ। সুতরাং কন্ট্রোল ইয়োর সেভ। তোমাদের সব ভিডিও রেকর্ডিং আছে আমি এসপি সাহেবকে বলেছি, ডিসি সাহেবকে বলেছি। তোমাদের সবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তোমরা শুধু চেয়ারম্যান সাহেবের লোক, আর আমি এমপি সাহেবের লোক। সুতরাং তোমাদের শোধরানোর একটা সময় দিলাম। এলাকার ছেলে-পেলে হাত-পা ধরবে, কান্নাকাটি করবে সেজন্য। ওসমান গণি, ইয়াছিন মেম্বারের কথা চিন্তা করো। তারা আমার হাত থেকে বাঁচতে পারিনি। আমি কিন্তু বড় বড় জায়গায় ঘা দেই। এ ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ ফেসবুকে কাইফুর এই হুমকির অডিও রেকর্ড আপলোড হওয়ার পর সেটা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে এবং এই অডিও রেকর্ড ভাইরাল হতে থাকে। সেই সাথে নিন্দা জানাতে থাকে অনেকে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হোসাইন জানান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোষিকে যেভাবে আমার ছাত্রলীগ নেতাকে হুমকি প্রদান করেছে সেটি খুবই দু:খ জনক। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবিব বলেন, তোষিকে কাইফুর সাথে জামায়াত শিবিরের লিয়াজো আছে। বর্তমানে কাইফুর ইন্ধনে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক একাধিক নাশকতা মামলার আসামি শাহাদাৎ হোসেন ও সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন বিভিন্ন সময় আমার জীবননাশের হুমকি প্রদান করছে। আমি দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে জানতে যুবলীগ নেতা তোষিকে কাইফুর কাছে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমি সংসদ ভবন থেকে কাইফু বলছি, চিনতে পারছ তোষিকে কাইফু!
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/