পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকলেঘাটা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে আকস্মিক হামলায় ৩ জনকে আহত ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পাটকেলঘাটা গোডাউন রোডের ডা. গোলাম রসুলের পাটকেলঘাটা নার্সিং হোমে এ ঘটনা ঘটে। ঘর মালিক কতিপয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় ক্লিনিকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করার সময় বাধা দিতে গেলে ক্লিনিক মালিকের স্ত্রী উমাইরা খাতুন (৩০), পুত্র শেখ তাহমিদুর রহমান (১৩) ও ক্লিনিকের আয়া ছায়া রানী দাশ (৩০) গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানান, ক্লিনিক মালিক। তিনি আরও জানান, ‘ক্লিনিকের ঘর মালিক বাগমারা গ্রামের শেখ ফজিয়ার রহমানের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শেখ রফিকুল ইসলাম গত ২০১৩ সালের পহেলা আগস্ট কুমিরা গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের পুত্র গোলাম রসুলের কাছে ১৬ বছরের জন্য ক্লিনিক পরিচালনা করার জন্য মাসিক ১৮ হাজার টাকা ও অগ্রিম ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাড়া প্রদান করে। ৬ বছর পূর্ণ হওয়ার পর হঠাৎ ঘর মালিক আর ভাড়া দেবে না বলে ক্লিনিকের মালিক গোলাম রসুলকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু গোলাম রসুল ক্লিনিক থেকে নামতে না চাওয়ায় ঘর মালিক রফিকুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ক্লিনিকের পানির লাইন, বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, ক্লিনিকের মালিকের স্ত্রী, পুত্র এবং আয়াকে মারধর করে ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে’। এ বিষয়ে ঘর মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের সাব-মিটার গুলোর কাউন্ট নিতে গেলে পরিকল্পিতভাবে ক্লিনিক মালিক গোলাম রসুল আমার স্ত্রী, কন্যার উপর গরম রঙিন পানি স্প্রে করে। তৎক্ষণাৎ আমি স্ত্রী-কন্যাকে বাসায় রেখে স্থানীয় মেম্বর হাফিজুর ইসলাম সহ কয়েকজনকে নিয়ে বিষয়টি ডা. গোলাম রসুলের কাছে বলতে গেলে তিনি উল্টো আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখান ও পরিকল্পিতভাবেই ছাদের উপরে রাখা ভাঙা কাচ ও চেয়ার টেবিল নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। ঘর মালিক আরো জানান, সুচতুর ডা. গোলাম রসুল ঘর ভাড়ার ডিডের মেয়াদ ঘষা মাজা করে ৬ বছরের জায়গায় ১৬ বছর করেছে। পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরির্দশক শাহাদাৎ হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাটকেলঘাটায় ক্লিনিক ভাঙচুরের অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/