নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ পদ দীর্ঘদিন দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ১ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি কলেজ শাখার উপ-পরিচালক (কলেজ-২) মো: এনামুল হক হাওলাদার এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের তোফায়েল আহম্মেদ দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে রাখেন। স্বৈরাচারী কায়দায় অধ্যক্ষ পদ দখল করে তিনি নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন।
এসব অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকারের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে দুদক কার্যালয় ২০২৪৫ নং স্মারকে (তারিখ: ২০/০৫/১৯) অধ্যক্ষের পদ দখলকারী তোফায়েল আহম্মেদ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ৩৭.০২.০০০০.১০৫.২৭.০১২.১৯.৭৬ নং স্মারকে উপপরিচালক (কলেজ-২) মো: এনামুল হক হাওলাদার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খুলনা অঞ্চলের কলেজ শাখার উপপরিচালককে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া বিষয়টি সদয় অবগতি ও কার্যার্থে ঢাকাস্থ দুদক কার্যালয়ের পরিচালক (বি.অনু: ও তদন্ত-১) কাজী শরিফুল ইসলামের নিকট প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত: নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লংঘন করে তোফায়েল আহম্মেদ দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থেকে তিনি অভিজ্ঞতা অর্জন করে ০৮/০৫/১৬ তারিখে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন। পরবর্তীতে আবারও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগের উদ্যোগ না নিয়ে একটানা ৩ বছর অধ্যক্ষ পদ দখল করে রেখে পূণরায় ১৩/০৭/১৯ তারিখে প্রক্সির কয়েকজন প্রার্থীর সহযোগিতায় পাতানো নিয়োগ পরীক্ষায় নিজে অধ্যক্ষ হয়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষার একদিন পূর্বেই পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে অধ্যক্ষ হিসেবে তোফায়েল আহম্মেদ অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাচ্ছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় যা শেষ শেষ পর্যন্ত সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কলেজ পরিদর্শনে আসবে বলে খুলনা অফিস থেকে আমাকে ফোন করে জানিয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে কথা বলতে অপারগতা জানিয়ে সামনাসামনি কথা বলার প্রস্তাব দেন।