Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ার শতবর্ষী হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশানের পূর্ণ নির্মাণ

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশানের পূর্ণ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে লোহার কড়ি দ্বারা পাকা করণের এই পূর্ণ নির্মাণ শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১শ’ বছরের পুরোনো হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশানই কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ৪৫ টি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের মরদেহ সৎকারের একমাত্র ভরসা। কিন্তু আনুমানিক ২-৩ মাস পূর্বে নৌখাল পূর্ণ খননে অপরিকল্পিত কর্মকাÐে দীর্ঘদিনের হঠাৎগঞ্জের শ্মশানটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। তারপর খাল খননের কারণে শ্মশান নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশানে লোহার কড়ি দ্বারা চিতাগাঁথনী, শাবদাহ ধৌত করার জায়গা ও একটি গোল ঘর নির্মাণ করতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার প্রয়োজন থাকলেও এখনও কোনো সরকারি অনুদান পাওয়া যায়নি। এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের যৌথ সহযোগিতায় হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশানের নির্মাণ কাজ কোনো রকমে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী রতন কুমার রায় বলেন, এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় কোনোভাবে চিতাগাঁথুনী, শাবদাহ গোসলের স্থান নির্মাণ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা একটি বিশ্রামাগার ও পরিপূর্ণ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। যা আর্থিক সংকটের কারণে এক সাথে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশানের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বাবু নিরঞ্জন পাল বলেন, হরিনা, আইচপাড়া, বাকসা, বাগাডাঙ্গা এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আবশ্যিক প্রয়োজনীয় এই মহাশ্মশান। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আমরা এই মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠা করে মাত্র চারটি জমানো পিলার নির্মাণ করে ব্যবহার করে আসছিলাম। কিন্তু ২-৩ মাস পূর্বে নৌখাল খননের সময় শ্মশানটি ভেঙে দেয়। অত:পর নিজেদের অর্থায়নে আমরা বর্তমানে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আর্থিক সংকটের কারণে পরিপূর্ণ ভাবে নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের ব্যবহৃত একমাত্র হঠাৎগঞ্জ মহাশ্মশানের পূর্ণ নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সহযোগিতা কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version