আগস্ট ৩, ২০১৯
সংক্ষেপে কালিগঞ্জ পরিক্রমা : অ্যাড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহিম
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে কালিগঞ্জ উপজেলার অবস্থান। এর উত্তরে দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন, পূর্বে আশাশুনি উপজেলার শোভনালী, আশাশুনি ও শ্রীউলা ইউনিয়ন, দক্ষিণে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি, ভূরুলিয়া ও নুরনগর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে ভারতের চব্বিশ পরগোনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ অবস্থিত। সীমান্ত নদী ইছামতি দ্বারা দ্ইু দেশের সীমানা বিভক্ত হয়েছে। বর্তমান কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ প্রান্তে নারায়নপুরে ছিল কালীবাড়ি। এর অনতিদূরে ছিল কালিগঞ্জ বাজার। কালিগঞ্জ উপজেলা অসীম সম্ভাবনাময়ী একটি ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ অঞ্চল। এর ভূ-প্রকৃতি মিশ্র উর্বর। প্রাচীনকালে সুন্দরবন কালিগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। জনস্ফিতি এবং কৃষি ও সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে বনভূমি বিলিন হয়ে গেছে। অতীতে উৎপাদন ব্যবস্থায় জীবন যাত্রার মান স্বচ্ছলতার সাথে সম্পন্ন হওয়ায় অত্র অঞ্চলের জনজীবন প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা ছিল। তার ছিল সুদক্ষ সেনাবাহিনী। বিদেশি সেনাপতি ফ্রেডারিক ডুডলী ও আগাস্টাস পেডরো প্রতাপাদিত্যের নৌবাহিনী সংগঠিত করেন। ফ্রেডারিক ডুডলীর নাম অনুসারে দুদলী গ্রামের নামকরণ করা হয়। প্রতাপাদিত্য যমুনা নদীর তীরে জাহাজ ভেড়া এবং নৌ-সেনাদের জন্য পোতাশ্রয় নিমার্ণ করেন। বর্তমান মৌতলার সুরক্ষিত পুরাকীর্তি জাহাজঘাটা আজও তার দক্ষতার স্মৃতি বহন করছে। কালিগঞ্জ উপজেলার দমদম গ্রামে প্রতাপাদিত্যের গোলাবারুদের কারখানা ছিল বলে জনশ্রæতি আছে। নলতা শরীফের ওরছ শরীফ, দূর্গাপূজা উৎসব, বারুনির মেলা, দোলের মেলা,রথের মেলা, কালিগঞ্জ সদরে বৈশাখী উৎসব অত্র উপজেলার অনন্য ঐতিহ্যের স্বাক্ষর। কুশুলিয়ার কাঁঠাল, কানারস, আম, লিচু, শাকসবজি, নাজিমগঞ্জ মোকামের কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন পন্য অত্যন্ত সুখ্যাত। কম্পোজ: শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ 8,549,153 total views, 16,485 views today |
|
|
|