আগস্ট ৩, ২০১৯
চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে এগিয়ে দেবহাটার ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক : তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ
এমএ মামুন, দেবহাটা: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলায় ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। যার মধ্যে কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, সুবর্ণাবাদ কমিউনিটি ক্লিনিক, টিকেট কমিউনিটি ক্লিনিক, পারুলিয়া ইউনিয়নের কোমরপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, নাজিরের ঘের কমিউনিটি ক্লিনিক, জেলিয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক, চালতেতলা কমিউনিটি ক্লিনিক, খড়িয়াডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, সখিপুর ইউনিয়নের পাঁচপোতা কমিউনিটি ক্লিনিক, ঈদগাহ মডেল কমিউনিটি ক্লিনিক, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নাংলা কমিউনিটি ক্লিনিক, আটশত বিঘা কমিউনিটি ক্লিনিক, আস্কারপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের টাউনশ্রীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, ভাতশালা কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আর প্রতিটি ক্লিনিকে এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে রয়েছে প্রতিদিন এক জন সিএইসসিপি, সপ্তাহে তিন দিন একজন এফডাবিøউএ ও এইচএ এবং মাসে একদিন একজন এফডাবি্লউভি কর্মী চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। উক্ত ক্লিনিক গুলোতে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া লক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলায় ৫টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে দুর্গম অঞ্চলে। নির্মাণ করা হচ্ছে একতলা বিশিষ্ট কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন। চলতি বছর এই কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের ছাদও নির্মিত হয়েছে। এখন চলছে ফিনিশিং এর কাজ। নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর মধ্যে রয়েছে শশাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, টিকেট কমিউনিটি ক্লিনিক, আটশতবিঘা কমিউনিটি ক্লিনিক, নাজিরের ঘের কমিউনিটি ক্লিনিক ও চালতে তলা কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ক্লিনিক গুলোর কার্যক্রম শুরু হলে মানুষের চিকিৎসার মান সন্তোষ জনক হবে। ঈদগাহ মডেল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইসসিপি জসিমউদ্দীন বলেন, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই প্রায় মানুষ কোন না কোন রোগে ভুগছে। তাই কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রামের মানুষের নাগালের মধ্যে থাকায় মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকের দিকে ছুটছে। প্রতিদিন সকাল থেকে ৫০-৭০ জন রোগী সেবা নিতে আসে। তবে এখানে প্রতিদিন পুরুষের তুলনায় মহিলা রোগী বেশি লক্ষ্য করা যায়। কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা কয়েকজন রোগী জানান, আমরা আগে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসলে ঠিকমত সেবা পেতাম না। তবে এখন ক্লিনিকে সেবার মান সন্তোষজনক। আগে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসলে ১ থেকে ২ রকম ওষুধ দিতো। কিন্তু এখন প্রায় সব ধরনের ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পেট ব্যথার সমস্যা, গ্যাসের সমস্যা, পায়ের ব্যথার সমস্যা, রক্ত স্বল্পতা, জ্বর, কৃমি সমস্যা, এলার্জি সমস্যা, হাতে ঘা, হালকা জ্বর সহ সর্দি-কাশির সমস্যায় চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা গেছে। রতেœশ্বরপুর গ্রামের কামারুজ্জামান জানান, দেশের প্রাচীন আমল থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষের সাপে কামড়ানো রোগীদের প্রধান ভরসা ওঝা-কবিরাজ। গ্রামের মানুষের সাপে কামড়ানোর সাথে সাথে ওঝা-কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ নিকটস্থ তাদের কোন চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ নেই। শহরের হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিয়ে যেতে অনেক সময় লাগে। যার মধ্যে সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগী মারা যায়। গত ৫জুলাই রাতে আক্রা শিবনগর গ্রামের জয়দেব ঘোষের মেয়ে ও টাউন শ্রীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী কৃষ্ণারাণী ঘোষকে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয়। কোন চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ না থাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করানো হলে তাতে কোন কাজ হয়নি। সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে সাপে কামড়ানো ইনজেকশন পাওয়া গেলে গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। 8,549,266 total views, 16,598 views today |
|
|
|