Site icon suprovatsatkhira.com

কামারবায়সা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় মারপিটের ঘটনায় অ্যাড. লতিফের সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কামারবায়সা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় মারপিট করে উল্টো হয়রানি এবং আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. লতিফকে জড়িয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, কামারবায়সা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম।  তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি বাঁশদাহ ইউনিয়ের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামারবায়সা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে একই এলাকার মৃত রুস্তম আলীর পুত্র ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং নারী ও শিশু পাচার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ার হোসেন, মনিরুল ইসলাম, আরিজুল ইসলাম, আ: আহাদের পুত্র জামায়াত কর্মী মজনু, তোফাজ্জেল হোসেন তোপা, মোজাম্মেল, মোস্তাফিজুর রহমান, মহিউদ্দীন, মৃত রমজান আলীর পুত্র আকবর আলী, রাশেদুল ইসলামের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব গংদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৩১ জুলাই ২০১৯ তারিখে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় আমরা উপস্থিত হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের গেটের সামনে আসা মাত্রই চাইনিজ কুড়াল, দা’সহ অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা উক্ত সন্ত্রাসীরা আমিসহ আমার ভাই মোখলেছুর রহমান, চাচা আঃ মোমেন, মঞ্জুরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই সবুজের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আমার চাচাতো রুবিনা ছুটে আসলে তাকেও মারপিট করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় তাদের হামলায় আমিসহ ৬ জন গুরুতর আহত হই। এ খবর শুনে বিদ্যালয়ের জমিদাতা অ্যাড. আ: লতিফ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সেখানে ছুটে যান। এছাড়া তিনি আর কোন ব্যাপারে সেখানে হস্তক্ষেপ করেননি। অথচ ওই মারপিটের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং আমার দাদু আ: লতিফকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে উল্লিখিত সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা গল্প সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। সেখানে আমার চাচা আমিনুল হাসান রাসেলকে জড়িয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। অথচ মারপিটের সময় তিনি ছিলেন মধ্যস্থতাকারীর ভুমিকায়। তিনি বলেন, আমার দাদু লতিফ ও চাচা রাসেল মারপিটের সময় আমাদেরকে শান্ত থাকতে বলেছিলেন। তাই সেখানে আমাদের লোক বেশি থাকার শর্তেও আমরা কোন মারপিট করেনি। বরং আমাদেরকে কুপিয়ে তারা গুরুতর আহত করেছে। আমার দাদুর প্রতিপক্ষের কিছু কুচক্রী, ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তি দ্বয় উক্ত ঘটনাকে রং মাখিয়ে মিথ্যা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে চরমভাবে তার সম্মানের হানি করেছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রেকর্ড করেছেন। ওই মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারা এই অশুভ পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। তিনি এ সময় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, হাসিনা, রুবিনা, সবুজ, মোমেনা ও মোমেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version