আগস্ট ২০, ২০১৯
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ আনসার বাহিনীর নিয়োগে দুর্নীতি
![]() ডেস্ক রিপোর্ট: নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই দুর্নীতির মাধ্যমে আনসার বাহিনীর বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এসব পদে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে চাকুরি করে আসছিলেন তারা যেমন বাদ পড়েছেন তেমনি তাদের স্থলে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেশি উৎকোচের মাধ্যমে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন মো. আরিজুল ইসলাম, মো. আবুল খায়ের ও খাদিজা খাতুন। তারা বলেন সরকার আনসার সদস্যদের ভাতা দেওয়া শুরু করলে জেলা কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলাম তাদের সবাইকে ডেকে পাঠান। এ সময় তিনি ও উপজেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মনোয়ারা খাতুন তাদের কাছে লিখিত আবেদন চান। সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলা আনসার সহকারী প্লাটুন কমান্ডার খাদিজা খাতুন বলেন আমরা সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এ সময় আমাদের কাছে মাথা প্রতি ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন জেলা কমান্ড্যান্ট। তবে তারা ১৭ হাজার টাকা দিলেও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। যাদের কাছ থেকে বেশি ঘুষ পেয়েছেন তাদেরকে চাকুরি দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তারা জানান ঘুষের বাকি টাকা দিতে না পারায় কলারোয়ার সাবেক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মনোয়ারা খাতুন ও চন্দনপুরের দল নেতা আবদুর রহমানের সাথে যোগসাজশ করে জেলা কমান্ড্যান্ট অন্যদের চাকুরি দিয়েছেন। ওমর আলি ও হোসেন আলির বয়স কম দেখিয়ে তাদের চাকুরি দেওয়া হয়েছে। প্লাটুনে নাম না থাকা সফিকুল ইসলামকে ঘুষের বিনিময়ে চাকুরি দেওয়া হয়েছে। খাদিজা খাতুনের জায়গায় কলয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের আলীম হোসেনের কন্যা চম্পা খাতুনকে ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একইভাবে সদর উপজেলার বাঁশদহার অজেদ আলি, আশাশুনির জালালউদ্দিন, শ্যামনগরের আবদুল গফফারসহ জেলার সাত উপজেলার অনেক কমান্ডারকে কোনো কাগজপত্র কিংবা নোটিস ছাড়াই চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা বলেন দালাল আবদুর রহমান , প্রশিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুন এবং জেলা পর্যায়ের কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলাম পরস্পরের সাথে যোগসাজশ করে এই দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। একমাত্র সম্বল আনসারের এই চাকুরি হারিয়ে তারা এখন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছেন দাবি করে তাদেরকে চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান তারা। 5,685,374 total views, 293 views today |
|
|
|