শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কালিগঞ্জের বিভিন্ন কামারশালায় ব্যস্ত সময় পার করছে কামাল শিল্পীরা। সারা বছর এ অঞ্চলের কামারপাড়া গুলোতে কাজের তেমন চাপ থাকে না। তবে কোরবানির ঈদ এলেই এসব জায়গায় বেড়ে যায় ব্যস্ততা। দিন-রাত টুং-টাং শব্দে মুখর উপজেলার নলতা, চাম্পাফুল, মৌতলা, বিষ্ণুপুর, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থান। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী তারা তৈরি করছেন কাতারি বা কোপা, জবাই ছুরি, ছেলা ছুরি, বটি, দাউ, কুরুলসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। পাশাপাশি চলছে মাংস কাটার সরঞ্জাম মেরামত এবং ধার দেওয়ার কাজ।
তবে বর্তমানে দেশে লোহা ও কয়লাসহ অন্যান্য সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ পড়ছে বেশি। কিন্তু সেই অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না কামার শিল্পীরা। ফলে এ পেশা থেকে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানি দাতারা কোরবানির পশু কাটাছেঁড়া করার জন্যে সরঞ্জাম ক্রয় বা পরিবারের ব্যবহৃত-অব্যবহৃত সরঞ্জাম ধার দেওয়ার জন্য ভিড় করছে কামারশালায়। বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিন উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ডাক বাংলো মোড় সংলগ্ন কামার শালায় গেলে ওই কামালশালার শিল্পী বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের গোবিন্দ রায়ের ছেলে শিব রায় (৩৪) জানান,
সারা বছরের তুলনায় কোরবানি ঈদের সময় তাদের ব্যস্ততা বহুগুণ বেড়ে যায়। এ সময় তাদের আয়ও তুলনামূলক একটু ভালো হয়। বর্তমানে তারা কাতারি বা কোপা প্রতি কেজি বিক্রি করছে ৫০০ টাকা, তবে পানানো খরচ নিচ্ছে ১২০ টাকা, জবাই ছুরি ১৫০ টাকা, পানানো ১০০ টাকা, ছেনা ছুরি ১৫০ টাকা, পানানো ৩০ টাকা, বটি বিক্রি করছে ৫০০ টাকা, পানানো ৫০ টাকা, দাউ ৫০০ টাকা, পানানো ৭০ টাকা, কুড়াল প্রতি কেজি ৫০০ টাকা পানানো ৯০ টাকা। তিনি আরও বলেন অন্য বছরের তুলনায় এবছর কাতারি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ পর্যন্ত আমি গ্রাহকদের কাছে প্রায় ৭০/ ৮০ টি কাতারি বিক্রি করেছি । আশা করছি অন্যবারের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হবো।
ব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা: দিন-রাত টুং-টাং শব্দে মুখর কালিগঞ্জে বিভিন্ন কামারশালা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/