Site icon suprovatsatkhira.com

বৃষ্টিতে হাঁটু পানি পারুলিয়া জেলিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে

মীর খায়রুল আলম: হঠাৎ দেখলে মনে এটি একটি বদ্ধ জলাশয়। ১৯৪০সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। সে সময় থেকে নির্দিষ্ট পানি নিষ্কাশনের পথ ধরে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হত। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব কিছু বদলে যাওয়ায় বদলে গেছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। সরেজমিনে জানা যায়, এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাপীঠের দুর্দশার চিত্র। কয়দিনের টানা বৃষ্টিতেই হাটুপানিতে নিমজ্জিত হয় পড়েছে গোটা বিদ্যালয় চত্বর। ডুবেগেছে বিদ্যালয়ের চত্বর ও মাঠ, পাশে অবস্থিত দুটি মন্দির, রস্তা সহ গোটা এলাকা। আর এতে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ যেনো দেখার যেন কেউ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পূর্বের পানি নিষ্কাশনের পথ প্রভাবশালীদের কারণে বন্ধ হওয়ায় এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। যার খেসারতে প্রতি বছর বর্ষার সময় বিদ্যালয়ের মাঠে বেড়ে যায় হাঁটু পানি, পানি শুকিয়ে গেলে কাঁদায় পরিপূর্ণ হয় থাকে মাঠ। এমনকি বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম পানিতে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাছাড়া পানি পাড়ি দিয়ে আসার পথে সাপ ও বিষাক্ত পোকা মাকড়ের ভয় উপেক্ষা করে স্কুলে আসতে হয় কোমলমতিদের। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রতিবছর এমন পানিবন্দি হতে হয়। সঠিক তদারকি আর সময় উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে পানি নিষ্কাশন করা হোক এমন দাবি তাদের।
তবে, বিষয়টি নিয়ে জেলিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত ঘোষ জানান, বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েছি তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পানি একটি ড্রেন দিয়ে পাশের বিলের মাধ্যমে নিষ্কাশন হত। কিন্তু ড্রেনগুলো বর্তমানে পলিজমে ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে পানি নিষ্কাশন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। যদি ড্রেনগুলো পুনঃখনন করা যায় তাহলে সমস্যাটি সমাধান হবে। তা না হলে জমে থাকা পানিতে বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব ঘটবে।
স্থায়ী সমাধান করতে পাকা ড্রেন নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের পাঠ দানের পরিবেশ বজায় রাখতে সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version