মো: রাকিবুল ইসলাম : দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর এলাকার রাস্তাগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এই এলাকার বেশিরভাগ এলাকার রাস্তার পিচ উঠে ছোট বড় অসংখ্য গর্তে পরিণত হয়েছে। রাস্তার পাশে ইটের সোলিং ও উঠে গেছে। এসব সড়কে চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
পথচারীরা জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার পক্ষ থেকে বালু খোয়া দিয়ে কোনরকমে রাস্তা মেরামত করা হলেও একটু বৃষ্টি হলেই তা উঠে আবার গর্তের সৃষ্টি হয়ে যায়।
সুলতানপুরের কাজীপাড়া, সরদারপাড়া, শেখপাড়া, পিটিআই সংলগ্ন রাস্তা গুলো মানুষের চলাচলের জন একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সকল সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। এ সড়কগুলোয় চলাচলকারী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা সহ মটর চালিত ভ্যান চালকরা যাত্রীদের থেকে দ্বীগুন ভাড়া আদায় করছে। বড় বড় খানা-খন্দের কারণে প্রায় সময় অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নারী-শিশু ও বয় বৃদ্ধরা। রাস্তা দিয়ে কোন রোগীকে হাসপাতালে নেওয়াটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। প্রসূতিদের চিকিৎসকের দ্বারে নিতে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। কাজীপাড়ার বাসিন্দা সাকিব হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাগুলো খুব ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বাচ্চারা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে না। রাস্তার ছাল-চামড়া উঠতে উঠতে এখন বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে। গর্তগুলো যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তার চিত্র দেখে মনে হয় সাতক্ষীরা পৌরসভার সবচেয়ে বেশি অবহেলিত মানুষের বসবাস ৪নং ওয়ার্ডে। রাস্তার করুণ দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকার মানুষ’।
এই এলাকার কাজী আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিগত ১৮-২০ বছর ধরে ৪নং ওয়ার্ডের সড়কের কোন সংস্কার কাজ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বর্ষার মৌসুমে রাস্তা গুলো মেরামত করা না হলে সাধারণের চলাচল খুব দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। তাছাড়া আমি বুড়ো মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে আমার খুব কষ্ট হয়’।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার ও প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করেছি। কতৃপক্ষ স্টিমেট করে নিয়ে গেছে টেন্ডার হলেই খুব শীঘ্রই রাস্তা গুলো মেরামত করা হবে’।