কলারোয়া প্রতিনিধি: রাস্তার দু’ধারে মাটির উচুঁ স্তূপ, বৃষ্টি হলেই জল-কাদায় একাকার হয়ে পড়ে। তার উপর রাস্তার দু’ধারের দেওয়া হয়েছে বাঁধ। শুষ্ক বা বর্ষা দুই মৌসুমেই চালকদের যানবাহন ঠেলেঠুলে চালাতে হয়। ইট-খোয়া উঠে রাস্তাটির বেহাল দশা। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, তাঁরা ‘বন্দী’ জীবন যাপন করছেন। ভোগান্তির এ চিত্রটি কলারোয়া উপজেলার ব্রজবাক্স বাসষ্টান্ড-দামোদরকাটি সড়কের। এ সড়কের দামোদরকাটি গ্রামের জাবাজ সরদারের ছেলে মোমিন সরদারের বাড়ির পাশের অংশে কয়েকটি পরিবার তাদের বাড়ি যেন বৃষ্টির পানি প্রবেশ না করে সেজন্য বাঁধ দিয়েছেন। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটিতে পানি জমে যায়, বিপাকে পড়েন ৩ গ্রামের পথচারীরা। এলাকাবাসী জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমের মাস পাঁচেক আগে প্রায় এক কিলোমিটার ব্যাপি এ রাস্তার স্থানে-স্থানে সলিং এর ইট ও খোয়া উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি। মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া এ রাস্তায় নতুন করে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে ওই বাঁধ। বাঁধের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাটুজল জমে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রোগী, বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে এ এলাকায় এখন অ্যাম্বুলেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি চলাচল করে না বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা রুস্তম আলী বলেন, ‘রাস্তাটি এখন এলাকাবাসীর যন্ত্রণা হয়ে দাড়িয়েছে। গ্রামের ভেতরে এ ধরনের একটি রাস্তায় মুষ্টিমেয় কিছু লোক বাঁধদিয়ে পানি ‘বন্দী’ করে রেখেছে যা সংস্কারহীন অবস্থায় দিনের পর দিন পড়ে রয়েছে, অথচ কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এ ব্যাপারে হেলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাঁধের ব্যাপারে মাত্র জেনেছি। আগামিকাল সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব।
কলারোয়ায় সলিং রাস্তার উপর বাঁধ ; ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/