আগস্ট ২০, ২০১৯
আশাশুনির কেয়ারগাতী খেয়াঘাট সংলগ্ন ভেড়ী বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো মুহ‚র্তে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
![]() এসএম শরীফ : আশাশুনিতে বড়দল ইউনিয়নের কেয়ারগাতি গ্রামের খেয়াঘাট সংলগ্ন মরিচ্চাপ নদীর ভেড়ী বাঁধটিতে ভয়াবহ ধস নেমে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধের মাটি ধসে যেতে যেতে এক হাত রাস্তাও অবশিষ্ট নেই। ভাঙন কবলিত এ স্থানটাতে সারা বছরই ভাঙন লেগেই আছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বেড়ি বাঁধে আরও ধস নেমে নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এলাকার জনসাধারণ সব সময় আতঙ্কে রয়েছে। তাছাড়া নদীতে ¯্রােত বাড়ায় ভাঙন দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। বর্তমানে ১ফুটের মত ভেড়ি বাঁধ থাকায় স্থানীয়রা বেড়া দিয়ে রেখেছে যাতে জনগণ চলাচল করে সর্বশেষ অংশটুকু ভেঙে না যায়। নদীতে পানি বৃদ্ধি ঘটলেই এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যেকোনো মুহ‚র্তে বাঁধটি ভেঙে কেয়ারগাতী, জামালনগর, ডুমুরপোতা, খেড়ুয়ারডাঙ্গা, গোয়ালডাঙ্গা নড়েরাবাদ, বামনডাঙ্গা, ফকরাবাদসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। বাঁধটি ভাঙতে ভাঙতে এলাকার বড় একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মোহনার কাছাকাছি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেয়ারগাতির এই বেড়ি বাঁধটি দীর্ঘকাল যাবৎ খুবই জরাজীর্ণ ও হুমকীগ্রস্ত। ইতিমধ্যে কয়েকবার বাঁধটি ভেঙে বা উপচে পড়া পানিতে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত স্থায়ী বা টেকসই সংস্কার ও যথাযথ ভাবে বাঁধ পুনঃ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে প্রতি বছর বাঁধটিতে ভাঙন লেগেই আছে। গত জুনে বাঁধটি ভেঙে যাবার উপক্রম হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেসময় বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জগদীশ চন্দ্র সানার নিজস্ব অর্থায়নে ভাঙ্গা অংশে বালির বস্তা ফেলে বাঁধটি মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সে বস্তাগুলি সরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসি। 5,686,544 total views, 1,463 views today |
|
|
|