নূর মনোয়ার: সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ, প্রাণসায়ের খাল। অথচ সেই খালে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করছে একটি চক্র। পৌরসভার শেষপ্রান্তে কুখরালী দক্ষিণ পাড়া এলাকা থেকে শুরু করে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নন্দিপুর এল্লাচর হয়ে ইসলামপুর সুইচগেট পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার খালের বিভিন্ন স্থানে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ। এতে চলতি বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার শঙ্কায় আছেন স্থানীয়া।
১৮৬৫ সালে অবিভক্ত বাংলার সাতক্ষীরার জমিদার প্রাণনাথ রায় শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যের বৃদ্ধির সুবিধার্থে সাতক্ষীরা শহরের মধ্যদিয়ে উত্তর দক্ষিণ বরাবর ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাণসায়ের খাল খনন করেন। প্রাণসায়ের খালখননে প্রাসারিত হয় এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য। সমৃদ্ধিশালী হয়ে ওঠে সাতক্ষীরা। তবে দীর্ঘদিন এই খাল রক্ষাণাবেক্ষণের কোন উদ্যোগ নেই।
কুখরালি আমতলা এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, এভাবে খালের মধ্যে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করার ফলে বর্ষার পানি ঠিকমত সরে না। এ জন্য সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের বাড়িতে ও রাস্তায় কয়েকদিন হাঁটু পানি জমে থাকে। তবে এসব নেটা পাটা অপসারনে কোন ব্যবস্থা নেয় না কর্তৃপক্ষ।
নন্দিপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম জানান, আমাদের বিলে শুস্ক মৌসুমে পানি সরবারহ এবং বর্ষার সময় এই খাল দিয়ে পানি নিস্কাশন হয়। কিন্তু খালের মাঝে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষের ফলে পানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নেট পাটায় আটকানো ময়লা আবর্জনা পচে পানি নষ্ট হচ্ছে। দূর্গন্ধে খালের পাশ দিয়ে হাটা যায় না।
এ বিষয়ে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শেখ মুস্তাফিজুর রহমান ময়না সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে জানান, খালে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে খালে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করা অন্যায়। এ বিষয়ে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী / শাখা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে বলেন, নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। তবে যদি কেউ এভাবে মাছ চাষ করে তবে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমের পর এই খাল খনন শুরু হবে।
সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খালে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ : জলাবদ্ধতার আশঙ্কা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/