Site icon suprovatsatkhira.com

‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বেনাপোল প্রতিনিধি : সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল বেনাপোল-ঢাকা রুটে দেশের প্রথম প্রতিবন্ধী বান্ধব বিরতিহীন ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস। বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১২টা ২২ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ এর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রেল মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন। এছাড়া রেলপথ উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন থেকে সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, ঝিকরগাছা সংসদ সদস্য ডা. অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর বেলা সোয়া ১টায় ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এই যাত্রায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামানের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন।
বেনাপোল এক্সপ্রেসে রয়েছে নতুন ১২টি কোচ, তার মধ্যে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রচলিত সুইং ডোরের পরিবর্তে এসব কোচে রয়েছে নিরাপদ ¯স্লাইডিং দরজা।
দেশের প্রথম প্রতিবন্ধী বান্ধব এই ট্রেনের অন্যতম নতুন বৈশিষ্ট্য হলো- বায়ো-টয়লেট সংযোজন। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রশস্থ দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা সংবলিত। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট এবং এয়ার কার্টেইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
যাত্রী সাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল রেক, টিভি মনিটর হ্যাঙ্গার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাঙ্গার, মোবাইল চার্জারের ব্যবস্থা রয়েছে। ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১২টি কোচ দ্বারা চলবে। ট্রেনটিতে এসি সিট, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৯৬টি (৭৯৫ নং ট্রেনের ক্ষেত্রে) এবং এসি বার্থ, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৭১টি (৭৯৬ নং ট্রেনের ক্ষেত্রে) আসনের ব্যবস্থা আছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান পরিবহণ তত্ত¡াবধায়ক মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ বলেন, ৮৯৬ আসনের এই ট্রেন প্রতিদিন বেনাপোল স্টেশন থেকে ছেড়ে যশোর, ঈশ্বরদী জংশন ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য সাময়িক বিরতি দিয়ে শেষ গন্তব্যস্থল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে থামবে। এ ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৩৪ টাকা, তাপানুক‚ল চেয়ার ১০১৩ টাকা, তাপানুক‚ল প্রথম শ্রেণি ১২১৩ টাকা এবং তাপানুক‚ল বার্থ টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ১৮৬৯ টাকা।
তিনি বলেন, নতুন এই ট্রেনে বেনাপোল থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে আট ঘণ্টা। বেনাপোল থেকে দুপুর ১ টায় ট্রেনটি ছাড়বে আর ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯ টায়।
আবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল পৌঁছাবে। ট্রেনের যাত্রী নাভারনের মোখলেছুর রহমান, রুমেল সরদার ও বেনাপোল পৌর কাউন্সিলার মিজানুর রহমান বলেন, এটি একটি যুগান্তরকারি পদক্ষেপ। পরিবহণের (বাস) চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত নিরাপদ ও আরামদায়ক । ট্রেনে যাতায়াত করতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এই ট্রেনের যাত্রী হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। “

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version