শ্যামনগর উপকলীয় প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দবনের পশ্চিম এলাকায় বনদস্যুদের অপতৎপরতা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই এলাকায় জেলে অপহরণ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলেরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। সর্বশেষ গত বুধবার দিনগত মধ্যরাতে অন্তত ৩টি নৌকাসহ ৭ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বনদস্যুরা।
জেলেদের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জুলাই মধ্যরাতে সুন্দরবনের মামুন্দো নদীর ছোট বৈকারী এলাকা থেকে ৩টি নৌকাসহ ৭ জেলেকে বনদস্যু জোনাব বাহিনী, রবিউল বাহিনী, জিয়া বাহিনী ও মেকাইল বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার পার্শ্বেখালী গ্রামের নওশের আলীর পুত্র মোবরক আলী, ধনাগাজীর পুত্র আব্দুল আলিম, বড় ভেটখালী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র আলম, আজগার আলীর পুত্র আলম, আক্তারের পুত্র নূর ইসলাম, নূর ইসলামের পুত্র কামরুল ইসলাম এবং মীরগাং গ্রামের জব্বার গাজীর পুত্র ইউনুস আলী।
জানা গেছে, দেড় মাস আগে জোনাব বাহিনী কালিঞ্চী গ্রামের সাগর মুন্ডার পুত্র ভাগ্য মুন্ডাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা এবং মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় তার আর কোন খোঁজ মিলেনি।
তাদের হাত থেকে ফিরে আসা এক জেলে পার্শ্বেখালী গ্রামের আলিম জানান, দস্যু বাহিনীগুলো মোবাইলে জেলেদের বাড়িতে যোগাযোগ এবং বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহ করে থাকে। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, ০১৮২৭-৮৩৮৩৬৫ ও ০১৭৯৩-১০৩৪৮২ নাম্বার থেকে অপহরণ করা জেলেদের বাড়িতে মুক্তিপণের টাকা চেয়ে যোগাযোগ করা হয়। ০১৮২৭-৭২৮৩৩৮, ০১৮২৮-৩৪০৮২৭ এবং ০১৮২৩-৬৬৩৭৩৩ মোবাইল বিকাশ নাম্বারে মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহ করা হয়।
সার্বিক বিষয়গুলো নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড অবহিত থাকলেও তাদের কোন ধরনের উদ্ধার তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, জোনাব বাহিনী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার সমশের নগর এলাকায় অবস্থান করে সুন্দরবনের ঝাড়া নামক স্থানে বসে তৎপরতা চালিয়ে থাকে। এ বিষয়ে কৈখালী কোস্টগার্ডের অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, বুধবার দিনগত মধ্যরাতের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা তাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি।
পশ্চিম সুন্দরবনে বনদস্যুদের ফের অপতৎপরতা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/