রাকিবুল ইসলাম: সাতক্ষীরা জেলায় অধিকাংশ বিকাশ এজেন্টের দোকান খোলা থাকলেও লেনদেন হচ্ছে না। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বিকাশের অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা। বিকাশ ব্যবসায়িরা জানান, গত ১৪ ই জুলাই সাতক্ষীরার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর ফারুক হোসেন এজেন্ট ব্যবসায়ীদের প্রায় চার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এতে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ ঘটনায় এজেন্টদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিকাশ এজেন্টদের পক্ষে শহরের আদর মোবাইল সেন্টারের মালিক কাজী আক্তার হোসেন সাতক্ষীরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বিকাশের সাতক্ষীরা শাখার ম্যানেজার, অফিস সহকারী, ডিস্ট্রিবিউটরসহ সাতজনকে। আসামিরা হলেন, বিকাশের সাতক্ষীরা জেলা শাখার ম্যানেজার সজল কুমার, ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল্লাহ আল মামুন, রানা, ফারুক হোসেন, তার বাবা মতিয়ার রহমান, ভাই ইয়াছিন আরাফাত ও আফ্রিদী। তবে এসব আসামিরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নবারুণ স্কুল মোড়ের বিকাশের এজেন্ট মহিদ স্টোরে মালিক মহিদ বলেন, ১৪ জুলাই শনিবার সকালে আমার কাছে বিকাশ এজেন্টের লোক বলে আপনার টাকা ক্যাশ লাগলে আমার নাম্বারে টাকা মেরে দিন আমি দুপুরের পরে এসে টাকা দিচ্ছি। তার পর থেকে তার কোন খোঁজ নাই। পরে জানতে পারি বিকাশ এর ডিস্ট্রিবিউটর ফারুক হোসেন সমস্ত এজেন্টের চার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
শহরের আদর মোবাইল সেন্টারের কাজী আক্তার হোসেন জানান, সাতক্ষীরা জেলার প্রায় দেড় হাজার এজেন্টের কাছ থেকে চার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর ফারুক দুবাইয়ে পাড়ি জমিয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। ফারুক তার পরিচিতজনদের ফেসবুক ম্যাসেজের মাধ্যমে দুবাইয়ের ছবি সরবরাহ করছে। এটার মাধ্যমে বোঝা যায় চার কোটি টাকা লুটে নিয়ে সে এখন দুবাইয়ে পালিয়েছে। তাদের কোনো হদিস নেই। যত দ্রæত সম্ভব এটার সমাধান করা খুবই জরুরী।
বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী আব্দুল্লাহ বলেন, আমি সরকারি কলেজে এইচ এস সি এ প্রথম বর্ষে পড়ি। আমি সাতক্ষীরায় একটি মেসে থাকি। আমার বাসা আশাশুনি উপজেলায়। আমার বাসা থেকে ৭-৮ দিন আগে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছে। এখন আমি সেই টাকা তুলতে পারছি না। আমার মেস ভাড়া ও খাওয়া খরচ দিতে পারছি না।
অন্য বিকাশ ব্যবহারকারী খলিলুর রহমান বলেন, আমি ব্যবসা করি। ঢাকা থেকে মালামাল ক্রয় করি বিকাশের মাধ্যমে। এখন বিকাশ বন্ধ হওয়ার ফলে সঠিক ভাবে ব্যবসা বাণিজ্যে করতে পারছি না। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করছি। সঠিক ভাবে ব্যবসা না করতে পারলে ব্যাংকের ঋণ কীভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না। আমি প্রশাসন ও বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আগের মত বিকাশে লেনদেন করতে পারি তার ব্যবস্থা করবেন।
এ বিষয়ে জানতে বিকাশের হেড অফিসের এক কর্মকর্তাকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন আমরা এ বিষয়ে ঢাকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে খুব দ্রুত এর সমধান করা হবে।
জেলায় বন্ধ বিকাশের লেনদেন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/