ডেস্ক রিপোর্ট: কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু। নির্বাচন বাতিল করে পূণরায় তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন আমাকে পরাজিত করার জন্য প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের ও নৌকার পক্ষের ভোটার ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত করেছেন। ভোটের দিন আমাকে ও আমার ছেলেকে লাঞ্ছিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি কালিগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল হয়েছিল। সেই কাউন্সিলে শেখ ওয়াহেদুজ্জামান সভাপতি ও সাঈদ মেহেদী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। দু’জনের অবনিবনার কারণে ৪ বছর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় উপজেলাব্যাপী দলের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারী সভাপতি শেখ ওয়াহেদুজ্জামান মৃত্যুবরণ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সাঈদ মেহেদী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছেন এবং তাকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন। নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে এক ভিডিও সাক্ষাতকারের গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসব কথা বলেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, অ্যাড. শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু যেসব অভিযোগ দিচ্ছেন তা আদৌ সত্য নয়। যারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সবাই সরকারি কর্মকর্তা। আমি যতটুকু জানি তারা সবাই যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি ভোটকেন্দ্রে যেয়ে কাউকে লাঞ্ছিত করিনি বা ভয়ভীতি দেখাইনি। নির্বাচনে যা কিছু হয়েছে তা রিটানিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা নিয়মনীতি মেনেই করেছেন। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে পালন করেছি। কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব করিনি।
কুশুলিয়া পুণরায় তফসিল ও নির্বাচনের দাবি কান্টুর
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/