Site icon suprovatsatkhira.com

গ্রামবাসীর অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে জিয়া খালের উপর স্বপ্নের সেতু

এম ওসমান, বেনাপোল: যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী জিয়ার খালের উপর নির্মিত হচ্ছে স্বপ্নের সেতু। কোন সরকারি সাহায্য ছাড়াই গ্রামবাসির উদ্যোগে ও নিজেদের অর্থায়নে চলছে ব্রিজের নির্মাণ কাজ ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জিয়ার খালের উপর দিয়ে উলাশী বাজারে যাওয়া আসার এক মাত্র সহজ পথ এই সেতু। এলাকার হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন যাবত এ খালের উপর বাঁশের খুঁটি পুতে ঝাড়ন তৈরি করে যাওয়া-আসা করছেন। স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে যাতয়াত করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। এসময় দুর্ঘটনা ঝুঁকি এড়াতে অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের অনেক সময় স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেন। অনেক সময় স্কুল- কলেজ থেকে যাওয়া আসার পথে বই খাতা নিয়ে পানিতেও পড়ে যায়। তবে যাতায়াতের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হওয়ায় সবাই এই খালের উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন। এছাড়া অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিতে অনেক ভুগান্তিত পড়তে হয়। এই খালের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে অন্তত সাতটি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। রঘুনাথপুর বাগ, ডাঙ্গী, করিময়ালী, মির্জাপুর, উলাশী, বেড়ারুপানি ও পাঁচপোতা গ্রামের হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন। প্রতি বছর বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করতে হয়। তাই নিজস্ব উদ্যোগে গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ চাঁদা দিয়ে নির্মাণ করছেন স্বপ্নের সেতুটি। এতে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা খরচ করে পিলার স্থাপন করা হয়েছে ।
এখনো ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লাগতে পারে বলে জানান এলাকাবাসী। তবে এই কাজে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরা যদি এগিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো তাদের যাতায়াতের স্বপ্নের সেতুটি নির্মাণ কাজ সহজ হতো বলে অনেকের অভিমত।
এই সেতু নির্মাণের জন্য যারা উদ্যোগ নিয়েছেন যারা তারা হলেন লোকমান হোসেন, মুজিবুর রহমান, মোয়াজ্জেম, আলিনুর, খাইরুল, মোহাম্মদ, খালেক, উলাশী ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিলনসহ আরো অনেকে।
জাহিদ হাসান ও খাইরুল ইসলাম নামে দু’ব্যক্তি বলেন, দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের উলাশী বাজারে যাওয়া লাগে। আগে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হতো। তবে সব কথা চিন্তা করে এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামবাসী। তারা জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যো ছাড়াই কাজ শুরু করেছেন কিন্তু, এমতাবস্থায় এখন কাজ শেষ করতে অনেক অর্থের দরকার, তাই সকলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version