গাজী আল ইমরানঃ বর্তমানে বাংলাদেশের সকল সংসদ সদস্যদের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সবচেয়ে বেশি পরিচিত মুখ এস এম জগলুল হায়দার। কখনো তিনি গেঞ্জি/লুঙ্গি পরিহিত গ্রাম বাংলার কৃষক, আবার কখনো রাতের অন্ধকারে থাকা নির্জন পল্লীতে অভূক্ত গরীবের বাড়িতে হাঁস-মুরগি, চাল, ডাল, তেল, বাজার নিয়ে উপস্থিত হওয়া।
এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, এতিমখানা, জনসাধারণের সম্মুখে রাস্তায় প্রচন্ড রোদে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী, ছুটে চলা বাসে ক্লান্ত যাত্রীদের মাঝে তিনি হঠাৎ উপস্থিত হয়ে তরমুজ, ডাবের পানি খাওয়ান। যা ফেইসবুক আমরা সব সময় দেখতে পাই। এ সকল কাজের জন্য তিনি সবসময়ই কারো কারো কাছে সমাজের রিয়েল হিরো আবার অনেকের কাছে হন সমালোচিত। নিজের কৌতুহল থেকেই কাছ থেকে মানবিক জগলুল হায়দার এর কার্যক্রম দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলি। কেউ কেউ বলেন তিনি সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করছে, আবার কেউ বলেন এটা তার রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি। এছাড়া বেশিরভাগ মানুষই বলেন তিনি ছোটবেলা থেকেই মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন। তিনি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সারা বাংলাদেশে এমন কি পৃথিবীর অনেক মানুষই তার মাধ্যমে শ্যামনগর তথা সাতক্ষীরা কে অন্য ভাবে জানতে পেরেছে।
এ সম্পর্কে বিধবা সালেহা বানু বলেন, কেউ যদি ঘুম থেকে জেগে তার দরজার কাছে তাদের এমপিকে দেখতে পান, তাহলে ওই এলাকার একজন নাগরিক হিসেবে আর কি চাওয়া পাওয়ার থাকে। আমাদের এমপি মহোদয় এমনই একজন এমপি, তাকে কেউ স্মরণ করলেই তিনি তার দরজায় হাজির হয়ে যান। শুধু হাজির হন না, খলিফা ওমরের মত তিনি গৃহস্থালির বাড়িতে বাজার-সদাই নিজের মাথায় করেও নিয়ে আসতে দ্বিধা করেন না।
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি- কলেজ শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ সুমন জানান, আমি বুড়ো বয়সে আমার নাতি-নাতনিদের সাথে গল্প করবো যে, আমার জীবদ্দশায় আমি শেখ হাসিনার শাসনামল পেয়েছি। আর গর্ব করে তৃপ্তি নিয়ে বলতে পারবো যে, আমার এলাকার এমপি ছিল- একজন মানবিক জগলুল হায়দার।
এ প্রসঙ্গে এস এম জগলুল হায়দার বলেন, দেখুন আমি কাজ করতে ভালবাসি। আমি আমার অবহেলিত, দুর্যোগ কবলিত, নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছাকাছি থেকে তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে ভালবাসি। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমি ও আমার এলাকার জনসাধারণ একসাথে একযোগে কাজ করছি। সমালোচকদের কাজ সমালোচনা করা। আমার কাজ এলাকার মানুষকে নিয়ে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করা। আপনারাই দেখুন ১০ বছর আগে শ্যামনগর-কালিগঞ্জ কোথায় ছিলো আর এখন কোথায়।এলাকার মানুষের শান্তি আমার শান্তি।গরিবের ভালোবাসা আমার আগামী দিনের পথচলা।