Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরায় মানব পাচারের বিচারে আইনী সহায়তা সম্প্রসারণে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় মানব পাচার সংক্রান্ত মামলার বিচার এবং আইনী সহায়তা কার্যক্রম শক্তিশালী ও সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জেলা সিটিসি, চাইল্ড টাস্ক ফোর্স, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার বোর্ড সদস্য ও বেসরকারি সংগঠন ইনসিডিন বাংলাদেশের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী অ্যাড. রফিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, শিশু পাচার রোধে আইনের কাঠামোটি দৃঢ় হলেও তার কার্যকর প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি। আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে, পাচারকারীদের শাস্তি ও পাচারের শিকার শিশুদের ন্যায় বিচার প্রদান করা যাচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতির আশু পরিবর্তন না হলে মানব পাচার রোধে সরকার গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ এর বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে মানব পাচার রোধে বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এই বিষয়ে বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সরকার ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ প্রণয়নের পাশাপাশি এই আইনের বিধিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করেছে। সাথে সাথে ২০০৮ সাল থেকে মানব পাচার বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আসছে। এছাড়াও বিধিমালা অনুযায়ী মানব পাচার দমন জাতীয় সংস্থা গঠন করেছে। সরকার এসকল উদ্যোগ গ্রহণ সত্ত্বে মামলা দায়ের, ভিকটিম সনাক্তকরণ ঠিকমত না হওয়া, ভিকটিম কর্তৃক অভিযোগ না করা, এমনকি মামলা দায়ের করার পরও তার দীর্ঘসূত্রিতা, দূরবর্তী কোর্টে বার বার যাতায়াত করার অসুবিধা, মামলাগুলো হয় উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে অথবা কোর্টের বাইরে মিমাংসা করে ফেলেছে। এর ফলে প্রতি বছর মানব পাচারকারীর বিচারের সংখ্যা কমছে। এই পরিস্থিতিতে পাচারের শিকার শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা কতটা দূরহ হয়ে উঠেছে, অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে কতটা পিছিয়েছে পড়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
তিনি আরো বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক মানব পাচার কমিটি (সিটিসি) গুলোকে সক্রিয় করার কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে এক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকলেও তা খুব একটা সন্তোষজনক না। তবে, তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত মানব পাচার বন্ধের লক্ষ্যে তাদেরকে দায়িত্বশীল করতে না পারলে শিশু তথা মানব পাচারের ঝুঁকিতে থাকা ও পাচারের শিকার ব্যক্তিদের কার্যকর সহায়তা ও সুরক্ষা প্রদান করা যাচ্ছে না।
পিসিপিএসসিএন’র পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং সাথে সাথে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইনসিডিন বাংলাদেশের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাকিবুর রহমান, শিশু প্রতিনিধি সুজিত দাস, সুজাতা দাস, সমাজসেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান, ব্রাক প্রতিনিধি এসএম আশারাফুল আলম, সিএসআই গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version