বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, এক শিক্ষক, অফিস সহকারী ও ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) শুকদেব রায় বলেন বুধবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মহসিন আলী শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, শরিফুল ইসলাম এবতেদায়ী শাখার সহকারী শিক্ষক, জামাল উদ্দিন অফিস সহকারী ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ডা. নুরুল ইসলাম। এঘটনায় ওই শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
শুকদেব রায় বলেন, শরিফুল নামের ওই শিক্ষক রোববার পঞ্চম শ্রেণির কক্ষে পাঠদানের সময় অন্যান্যদেরকে লিখতে দিয়ে মেয়েটিকে কাছে ডেকে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। মেয়েটি এই ঘটনা মাদ্রাসার শিক্ষিকা শাহনাজ পারভিন ও বাড়ির স্বজনদের বলে। বুধবার পরিবারের পক্ষে তার বাবা থানায় অভিযোগ করলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তথ্য গোপন করার অভিযোগে অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীকেও গ্রেফতার হয়।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন বিশ্বাস বলেন, পরিবারের অভিযোগ পেয়ে সোমবার ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং ডেকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ।
সাতদিন সময় দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ডা. নুরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন আছমত আলি ও শিক্ষিকা শাহনাজ পারভিন।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে বলে জানালেন ইয়াকুব হোসেন।
এঘটনা সম্পর্কে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল বলেন, আমি অধ্যক্ষের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনামাত্রই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি।
