যশোর প্রতিনিধি: যশোর-মণিরামপুর সড়কের যশোর সদরের বাজুয়াডাঙ্গা সাতমাইল বাতান বাড়ি মহাশ্মশান ঘাটের সামনে ট্রাকে গণডাকাতির ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ ডাকাতির সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
যশোর শহরের মোল্যাপাড়া বাঁশতলা মসজিদ এলাকার রাশিদা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হোসেন আলীর ছেলে বাবুল হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, তিনি পেশায় একজন ট্রাক চালক। বগুড়া থেকে (কুষ্টিয়া ট-১১-০৩৫৪) ট্রাকে ফার্নিচার নিয়ে সাতক্ষীরায় গত ১ মে রাতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে রাত আড়াইটার সময় আমি যশোরের উদ্দেশ্যে ফিরছিলাম। রাত পৌনে ৩টায় ওই সড়কের বাজুয়াডাঙ্গা সাতমাইল নামকস্থানে বাতানবাড়ি মহাশ্বশ্মান ঘাটের সামনে পৌছুলে রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে একটি মেহেগুনী গাছ ফেলে ডাকাতেরা। গাছ ফেলার সাথে সাথে ট্রাকটি থামিয়ে দিলে দুই পাশ থেকে ১২-১৪জন ডাকাত হাতে লাঠি ও সশস্ত্র অবস্থায় তার ট্রাকের কাছে আসে। ডাকাতদের দেখে চালক বাবুল হোসেন ট্রাক থেকে দৌড়ে পালানোর এক পর্যায় তার দখল হতে নগদ সাড়ে ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে জিম্মি করে ফেলে। তাকে মারপিট করার এক পর্যায় মণিরামপুর দিক ও যশোরের দিক হতে রাস্তার দুই ধারে (যশোর ট- ১১-৪৭২২) ট্রাকের চালক তাজামুল, (যশোর ট- ১১-২১৭৫) এর চালক উজ্জল হোসেন, (যশোর ট- ১১-২৩৫৭) এর চালক খায়রুল, (যশোর ট-১১-৩৯৭৭) এর চালক রবিউল ইসলাম, (যশোর ট-১১-২০১১) এর চালক পলাশ, (ঢাকা মেট্টো ট-২০-৫৯৬৫) এর চালক মনোয়ার হোসেন, (যশোর ট-১১-১১৭৩) এর চালক মনিরুল ও (কুষ্টিয়া ট- ১১-১৩৯৬) এর চালক হারুনকে জিম্মি করে।
এসময় নগদ ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা ও ৪টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সোয়া ৩ টার সময় ওই সড়কের বিভিন্ন দিক দিয়ে চলে যায়। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর কোতয়ালি মডেল থানা থেকে ওই রাতে সড়কে ডিউটিরত পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে। ডাকাতের ফেলে যাওয়া গাছের গুড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলে। পরে দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক তার গন্তব্যস্থলে ছেড়ে যায়।
যশোর-মণিরামপুর সড়কে গণডাকাতি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/