যশোর প্রতিনিধি: যশোর-মাগুরা সড়কের নোঙরপুর মাজারের পাশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাকাত মণিরামপুর উপজেলার শোলাপুর গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম (৫১) বলে উল্লেখ করেছে যশোরের পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত ১১ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালউদ্দিন শিকদার এ তথ্য জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন ও কোতোয়ালী থানার ওসি অপূর্ব হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালউদ্দিন শিকদার বলেন, ভোর ৩টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের নোঙরপুর মাজারের পাশে দুই দল ডাকাতের মধ্যে গুলি বিনিময় হচ্ছে- এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তখন ডাকাত দল পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পুলিশও তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তখন ফাঁকা মাঠের মধ্যে দিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবুল কাশেমকে পড়ে থাকতে দেখে।
এরপর তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, তিনটি হাসুয়া, এক জোড়া লাল রঙ্গের পুরাতন বাটার স্যান্ডেল, ১৫ গজ নাইলনের রশি ও ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, ডাকাতি ঘটনার পর পুলিশ প্রথমে মণিরামপুর উপজেলার ইত্তা মাঠপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামকে আটক করে। এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাত অপর সদস্য শাহিনুর (৩৫), শহিদুল গাজি (৩৫) ধনিরাম দাস (৪০), আসলাম বিশ্বাস (২৯), আলম হোসেন ওরফে ইমরান (২২), মিজানুর রহমান মিন্টু (৪০), আজিবর গাজী (৪৮), বাবর আলী শেখ (৩৬) ও ওহিদুজ্জামান বাবুকে (৩২) আটক করা হয়। এরা যশোর এবং যশোরের আশপাশে বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকারক্তি প্রদান করেছে।
আটক সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার নকিপুর এলাকার মনিরুদ্দিনের ছেলে ওহিদুজ্জামান বাবু সাংবাদিকদের জানান, আগে সাতক্ষীরায় একটি হোটেলে কাজ করতেন তিনি। সেখানে আলমগীর নামে একজনের সাথে পরিচয় হয়। তিনিউ বাবুকে ডাকাতির পথে নামায়। গত ৬ মাসে যশোরের কুয়াদা, খুলনার চুকনগর ও মণিরামপুর, রাজগঞ্জ সড়কে মোট ৫টি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত তিনি।
যশোরে ডাকাতিতে জড়িত ১১জন আটক
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/