স্বপ্না রায়, রাজগঞ্জ (মণিরামপুর): মণিরামপুরে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রীর বাল্য বিয়ের বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী।
সোমবার (২০ মে) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী উপজেলার চাকলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে কলারোয়া উপজেলার সলিমপুর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে ইমরান হাসানের সাথে মেয়েটির বিয়ের দিন নির্ধারণ করে পরিবার। সেই মতে সোমবার থেকে কনের বাড়িতে প্যান্ডেল সাজানোসহ বিয়ের আয়োজন চলছিল। কিন্তু মেয়ের বয়স ২ মাস ২০ দিন বাকি আছে। মেয়েটিকে কলেজে আশা যাওয়ার পথে কলারোয়ার খোরদো গ্রামের তৌকির আহম্মেদ মিম নামে এক বখাটে উত্ত্যক্ত করত। ছেলেটির ভয়ে মূলত পরিবার মেয়েটির বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
মণিরামপুরের ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, কলেজছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়োজন বন্ধ করা হয়। বয়স হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মেয়ের পিতা লিখিত দিয়েছেন। ওই ছাত্রীর কলেজের অধ্যক্ষকে ডেকে তার লেখাপড়ার ভার নিতে বলা হয়েছে।
মণিরামপুরে বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/