মো. আব্বাস উদ্দীন, মণিরামপুর (যশোর): রমজানের শুরু থেকেই মণিরামপুর পৌর শহরসহ প্রতিটি হাট-বাজারে পণ্য সামগ্রীর দাম হু হু করে বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতা ও ভোক্তা সাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি রমজানে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও এ বছর বাজার মনিটরিংয়ের কোন পদক্ষেপ এখনও গ্রহণ না করায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মণিরামপুর পৌর শহরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি পণ্য সামগ্রীর দাম রমজানের ৩য় দিনে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার রাজগঞ্জ, নেহালপুর, চিনাটোলা, ঢাকুরিয়া, খেদাপাড়া, নেংগুড়াহাট, রোহিতা বাজার, সুন্দলপুর, গোপালপুর, হাজিরহাটসহ ছোট-বড় সকল হাট-বাজারে পণ্য সামগ্রীর মূল্য কয়েকগুণ বেড়েছে। দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্য তালিকা না থাকায় অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা বাজারের চাহিদা বুঝে ইচ্ছে মতো চড়া দামে বিক্রি করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মণিরামপুর পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতিটি পণ্যের আমদানি যথেষ্ট, অথচ দাম আকাশ ছোয়া। ছোলা, মুড়ি, খেঁজুর, পাকা কলা, আখের গুড়, মাছ-মাংস, গরুর দুধ, শাক- সবজি বিশেষ করে বেগুন, কাঁচা কলা, খিরাই, শসা,করল¬া, সজিনা, ঝিঙা, চিচিঙা, বরবটি, লাউ, ডাটা, পুইশাক, মিষ্টি কুমড়া, বাঙ্গী, পিয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, আদা-চুই, চিনি, ব্যাসন, আটা, ময়দা, গরম মসলার মূল্য বেশ বেড়ে গেছে। ৩০ টাকা কেজি দরের পাকা কলা ৬০-৭০ টাকা, খেঁজুর কেজি প্রতি ৩’শ টাকা, আখের গুড় ৮০ টাকা, গরুর দুধ ৫০ টাকা, রুই জাতীয় মাছ কেজি ওজনের ৩’শ টাকা, গরুর মাংস সাড়ে পাঁচশ টাকা, দেশি মুরগি ৪’শ টাকা, খাশির মাংস ৮’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিং-মাগুর মাছ একটু বড় সাইজ হলে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা, কাচা মরিচ ৮০ টাকা, খিরাই ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করল¬া ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি, ব্যাসন, গরম মসলা, আদা-চুইও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের তৃতীয় দিনেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত দামে ক্রেতাদের কাছে এসব দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান জানান, বাজার মনিটরিং দ্রুতই শুরু করা হবে।
মণিরামপুরে পণ্য সামগ্রীর দাম আকাশ ছোয়া, বাজার মনিটরিং না করায় অসন্তোষ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/