যশোর প্রতিনিধি: ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। ‘অনাগত সন্তানকে দিতে থ্যালাসেমিয়া থেকে সুরক্ষা, বিয়ের আগে করুন রক্তের ইলেকট্রোফরেসিস পরীক্ষা’ প্রতিপাদ্যে দিনটি উপলক্ষ্যে যশোরে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে বুধবার সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে
র্যালিটি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে কালেক্টরেট সভাকক্ষে গিয়ে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সভায় চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তাহলে থ্যালাসেমিয়া হয়। এর ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করতে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আস্থা’।
আস্থার সভাপতি মেহেদী হাসান শিহাব জানান, দেশের ১০ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করছে। এরমধ্যে চার শতাংশই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বেঁচে থাকতে এদের নিয়মিত রক্ত নিতে হচ্ছে। দেশে বছরে সাড়ে সাত হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে হিসেবে দিনে ২০ জনের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু এ রোগে ভুগছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ। বাংলাদেশে প্রায় ১০-১২ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বিশ্বে প্রতি বছর এক লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের সভায় বক্তারা: দিনে ২০ শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসছে
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/