Site icon suprovatsatkhira.com

উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরেও পরীক্ষায় বসতে পারলেন না বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী

যশোর প্রতিনিধি: উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হারুণ-অর-রশিদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এজন্য দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের অপসারণ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা। গত ১৪ মে উচ্চ আদালত তাদের বহিষ্কারাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অবৈধভাবে আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমানের মাধ্যমে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন।
আদালত গত ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবৈধ বহিষ্কারের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। আদালতের দেয়া বহিষ্কারাদেশ স্থগিতের কপিসহ আবেদন করলেও বুধবার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হারুন অর রশীদকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান ও শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন থেকে ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের অপসারণ দাবি করা হয়। একই সাথে ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যবিপ্রবির শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তারের অপসারণ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হুমায়রা আজমিরা এরিন ভিসির বাসভবনে গভীর রাতে আসা কালো গ্লাসে ঢাকা মাইক্রোবাসে করে বৈঠক করতে আসা ব্যক্তিরা ‘আইএস’ সদস্য কিনা তা তদন্ত করতে সাংবাদিক ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের উপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়া রোকনুজ্জামান, মোতাসসিন বিল্লাহ ও হারুন অর রশীদ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version