মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মণিরামপুর শহরে ও গ্রামে চুরির হিড়িক পড়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা একের পর এসব চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে অজ্ঞাত কারণে এ পর্যন্ত কেউ আটক কিংবা কোন মালামাল উদ্ধার হয়নি । এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ধারাবাহিক চুরির এসব ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বর্তমানে পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ চুরি ও ডাকাতি আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলেন, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে শুধু প্রশাসনের উপর চেয়ে থাকলে হবে না। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধ দমনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেদেরকেও কাজ করতে হবে।
পৌর এলাকার কামালপুর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আকরাম আলীর ছেলে মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার ছোট ভাই জাকির হোসেনের বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা ওই বাড়ি থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণের গহনা এবং নগদ টাকাসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এদিন দিনের আলোতে পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের ব্যাংক ম্যানেজার আবুল কাশেমের বাসার ভাড়াটিয়ার ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। গত শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ব্যবসায়ী শাহ আলমের বাসায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। এর মাত্র কয়েকদিন আগে পাশ্ববর্তী কামালপুর গ্রামের মোজাম্মেল ও তার ভাই আইনালের বাড়িতে লুট করে চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এছাড়া কিছুদিন আগে পৌর শহরে থানা সংলগ্ন দোলখোলা মোড় নামক স্থানের পাশে একটি ৪ তলা এবং দু’টি ৩ তলা ভবনে দিনের বেলায় ৩ শিক্ষক দম্পতির বাসায় চুরির ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই দিন বাসার মধ্যে নুপুর বেগম নামে শিক্ষিকার বাসা থেকে সাড়ে ৯ ভরি স্বর্ণের গহনাসহ নগদ টাকা লুট করে দিনের আলোতে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরা। একের পর এক দিনে ও রাতে ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় এলাকবাসীর মধ্যে চরম আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে মণিরামপুরে চুরির হিড়িক!
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/