Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

dav

ফাহাদ হোসেন: ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা  প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণিসমূহ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এজন্য সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে সর্তক থাকতে হবে। ইতোমধ্যে জেলায় ৪নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, জেলার ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, ইতোমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর ০৪৭১৬৩২৮১।
সভায় জানানো হয়, জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩২শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১১৬ টন চাল, ১ লক্ষ ৯২হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে।
সভায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করে বলা হয়, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর সর্তক সংকেত আসলে উপকূলীয় মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে হবে। যতদূর সম্ভব দ্রুততার সাথে মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হবে। সংকেত প্রচারে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ প্রত্যক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। #

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version